রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ সংকটের সঙ্গে সমানুপাতিক হরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিশ্বের খাদ্যসঙ্কট।তার মোকাবিলা করতেই নতুন উপায় বার করলো ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জে
রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ সংকটের সঙ্গে সমানুপাতিক হরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিশ্বের খাদ্যসঙ্কট। এর আগেও এবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। কিন্তু এবার বিষয়টিকে বিপর্যয় মোকাবিলার দিক থেকে বিশ্লেষণ করে রাষ্ট্রপুঞ্জে আলোড়ন ফেললো ভারতের উপ-চিরস্থায়ী প্রতিনিধি আর রবীন্দ্র। ভারত ও সুইডেনের হয়ে একটি যুগ্ম বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বের খাদ্য সঙ্কট আরও বেড়েছে। ভারত ও সুইডেন, বিশেষ করে এই দুই দেশ, বিষয়টি নিয়ে খুবই চিন্তিত।’’
কৃষ্ণসাগর দিয়ে খাদ্যশস্য পরিবহণ নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের চুক্তি হয় বেশ মাস কয়েক আগে।সেখানে বলা হয় যে খাদ্যশস্য নিয়ে যাচ্ছে এমন জাহাজ দেখলে রাশিয়া হোক বা ইউক্রেন কেউ হামলা চালাবে না। প্রাথমিকভাবে এই চুক্তির সময়সীমা ধার্য হয়েছিল ১৭ ই নভেম্বর পর্যন্ত। কীন্তু পরে এই চুক্তি আরও ১২০ দিন বাড়ানো হয়। চুক্তির সময়সীমা বাড়ানোর কারণে এখন কৃষ্ণসাগর থেকে শস্যদানা, খাদ্যসামগ্রী, সার সমস্ত কিছুই রপ্তানি হচ্ছে যাতে যারপরনায় খুশি ভারত সুইডেন সহ আফগানিস্তান ,মায়ানমারের মতো খাদ্যাভাবে থাকা দেশগুলো।
এইবছর ভারত আফগানিস্তান ও মায়ানমারে প্রায় ১৮ লক্ষ টন গম রপ্তানি করেছে। যাতে না খেতে পেয়ে মারা না যায় মানুষ তার জন্য ২০২৩ সালে মানবিক খাতে আনুমানিক অন্তত ৫ হাজার ১৫০ কোটি ডলার ব্যয় করার পরিকল্পনাও করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ সহ অন্যান্য সহযোগী সংস্থাগুলো।
এপ্রসঙ্গে রবীন্দ্র বলেন,‘বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে থাকা মানুষদের জীবনে বদল আনতে পারে কিছু মানবিক ব্যবস্থা। যাঁরা সব চেয়ে কষ্টে রয়েছেন, তাঁদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে পারে।....২০২৩ সালে যাতে আর কোনও ভাবে এই মানবিক ব্যবস্থা ভেঙে পারতে না পারে, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’