
বুধবার ইজরায়েলি সৈন্যরা দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছে হামাসের মোকাবিলা করে। নিরাপদ এলাকা না থাকায় প্যালেস্তাইনের বাসিন্দারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া দুই মাস ধরে চলা এই সংঘর্ষ বুধবার রাতে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এখানে ইজরায়েলি যুদ্ধবিমান ঘনবসতিপূর্ণ উপকূলীয় এলাকায় লক্ষ্যবস্তুতে বোমাবর্ষণ করে।
এই লড়াইয়ের ফলে হাসপাতালগুলোতে মৃতদেহ ও আহতের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। এদের অধিকাংশই মহিলা ও শিশু। প্যালেস্তাইনের চিকিত্সকরা বলেছেন যে হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা সরবরাহ শেষ হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ নাগরিকরা আশ্রয় খুঁজছেন কিন্তু বাস করতে হচ্ছে রাস্তায়। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী বুধবার ট্যাংক নিয়ে দক্ষিণ শহরের দিকে অগ্রসর হয় এবং খান ইউনিস শহর ঘেরাও করে এবং গুলিবর্ষণ শুরু করে। সেনা একটা স্কুলের কাছে শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। হামাসের সশস্ত্র শাখা, আল-কাসসাম ব্রিগেডস বলেছে যে বুধবারের লড়াই মারাত্মক ছিল এবং অজানা সংখ্যক লোক নিহত ও আহত হয়েছে।
এদিকে, গাজায় সংঘাতের মধ্যে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বুধবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের সনদের ৯৯ অনুচ্ছেদ আহ্বান করে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদে উল্লেখ করেছেন। গাজায় মানবিক সংকট বন্ধ করতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, গুতেরেস ইউএনএসসির প্রেসিডেন্টকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে তিনি বলেছেন যে এই সংঘাত ইজরায়েল এবং অধিকৃত প্যালেস্তাইন ভূখণ্ডের জন্য ভয়ংকর মানবিক দুর্ভোগ।
বুধবারের সংঘাতে দক্ষিণ গাজায় ত্রাণ সরবরাহ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবিক সহায়তা কার্যালয় জানিয়েছে, গত তিন দিনে ইজরায়েলি বাহিনী রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় মিশরের দক্ষিণ সীমান্তের রাফাহ শহরের কাছের এলাকায় শুধুমাত্র আটা ও পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আল-আকসা হাসপাতালে জ্বালানি-চিকিৎসা সরবরাহ প্রায় করা যাচ্ছে না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।