ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক আর সিরিয়া, দেখুন প্রাকৃতির তাণ্ডবের ভয়ঙ্কর ছবিগুলি

ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড তুরস্ক ও সিরিয়া। খুব ভোর ভূমিকম্পের কারণে প্রচুর মানুষ ঘুমের ঘোরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৭০ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বড়বে বলেও জানিয়েছে দুই দেশের প্রশাসন। 
 

সোমবার খুব ভোরে সিরিয়ার ভূমিকম্পের কারণে ধসে যায় একাধিক বাড়ি। সেখানে কমপক্ষে ৩৮৬ জনের মৃত্যু হয়। সিরিয়া সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে তুর্কি শহর গাডিয়ানেটেপের আগে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আতঙ্কে রাতের অন্ধকারেই অনেকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। 
 

সিরিয়া, আলেপ্পা, হামা, লাতাকিয়া ও তারতুস শহরে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়। সেখানে মৃত্যু হয় ১৪৮ জনের। 
 

গত এক শতকে তুরস্কে যে বড় প্রতিকূল অবস্থা তৈরি হয়েছে তার মধ্যে এই ভূমিকম্প অন্যতম। কারণ সিরিয়ার অস্থিরতার কারণে প্রচুর মানুষ তুরস্কে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে। এদিন ভূমিকল্প সেই সব অঞ্চলগুলিকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। 
 

সিরিয়ার জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্রের প্রধান রায়েদ আহমেদ জানিয়েছেন কেন্দ্রের ইতিহাসে রেকর্ড করা এটাই সবথেকে ভয়ঙ্কর ও সবথেকে বড় ভূমিকম্প। 
 

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা জানিয়েছে, তুরস্কের গাজিয়ামটেপ শহরের কাছে প্রায় ১৭.৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। স্থানীয় সময় ভোর ৪টে ১৭ মিনিটের ভূমিকম্প হয়। এই এলাকায় প্রায় ২ মিলিয়ম মানুষের বাস। 

তুরস্কের জরুরি পরিষেবা সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল প্রায় ৭.৪। ঘটনা পরে প্রায় ৪০টি আফটার শক হয়। 
 

ভূমিকম্পটির বিস্তৃতি ছিল কায়রো পর্যন্ত । তাছাড়া সাইপ্রাস দ্বীপও কেঁপে উঠেছিল ভূমিকম্পের কারণে। তুরস্ক সরকারের হিসেব অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ১০০ ভবন তারা গুনতে পেরেছে যেগুলি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। সেখানে  প্রাণের অস্তত্ত্ব নেই বলেও মনে করছে। 
 

ভয়ঙ্কর ধ্বংসস্তূপের কারণে বিপর্যস্ত উদ্ধারকার। কোনও এলাকায় প্রচুর মানুষ ধ্বংসাবসের নিচে চাপা রয়েছে। তাদের আওয়ার শোনা গেলেও উদ্ধার করবে বেগ পেতে হচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। কারণ ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে তাদের কাছে যায়ওয়াটাই কঠিন। 
 

তুরস্ক ও সিয়ারার ভূমিকম্প নিয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীষ ভারত থেকে উদ্ধারকারী দল ও প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী পাঠান হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাঠান হচ্ছে দুটি স্পিফার ডগ। প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকারও প্রয়োজনীয় সাহায্য পাঠাবে বলে জানিয়েছেন।