সেনার পোশাকে খুনি ভ্লাদিস্লাভ কানিউস। বান্ধবী ফেখতেলেভাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। এই অপরাধে ১৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
আজবকাণ্ড রাশিয়ায়! যুদ্ধে অংশ নিতে রাজি হয়ে যাওয়ার পরই বেকুসুর খালাস পেয়ে গেল এক একখুন। যে কিনা তার বান্ধবীকে ১১১ বার ছুরি মেরে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। শোনা যাচ্ছে খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া থেকেও ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে তাকে।
নাম ভ্লাদিস্লাভ কানিউস। বান্ধবী ফেখতেলেভাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। এই অপরাধে ১৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্কু ভ্লাদিস্লাভ জেলে এক বছরেরও কম সময় কাটিয়েছিল। তারই মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্টের আর্শীবাদের হাত তার মাথায় তাকে বেকুসুর খালাস করে দেওয়া যায়। যদিও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে নিহত মহিলার মা।
কানিউস তার বান্ধবীকে ১১১ বার ছুরি মেরে হত্যা করেছিল। যদিও তার আগে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ার শাস্তি হিসেবে বান্ধবীকে টানা তিন ঘণ্টা ধরে ক্রমাগত ধর্ষণ করেছিল। চরম শারীরিক নির্যাতনেরও শিকার হতে হয়েছিল মহিলাকে। শেষ পর্যন্ত মহিলার মৃত্যু নিশ্চিত করতে মহিলাকে লোহার তার গিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। মহিলার চিৎকার শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসেছিল। তারা পুলিশকে ফোনও করেছিল। সাতবার ফোন করার পরেও পুলিশ কোনও সাড়া দেয়নি। তারপর পুলিশ যখন তাসে তখন সব শেষ হয়ে গিয়েছিল।
সম্প্রতি নিহত নির্যাতিতার মা কানিউসের একটি রুশ সেনার পোশাক পরা ছবি দেখতে পেয়েছেন। তিনি তার সম্পর্কে সব খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছেন তার সাজা মকুব করে দেওয়া হয়েছে। শোকার্ত মা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে আকালেই করবে ঘুমিয়ে রয়েছে। আর খুনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ছেলেটির জন্য তিনি তাঁর জীবনের চরম আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
নারী অধিকার কর্মী অ্যালিওনা পপোভা বুধবার বলেছেন যে কারা কর্তৃপক্ষ কানিউসের ইউক্রেন সীমান্তবর্তী দক্ষিণ রাশিয়ার রোস্তভে স্থানান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তিনি ৩ নভেম্বর রাশিয়ান প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস থেকে পাওয়া একটি চিঠি শেয়ার করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে যে কানিউসকে ক্ষমা করা হয়েছে এবং ২৭ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির ডিক্রির মাধ্যমে তার দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। নিহতের মা গোটা ঘটনার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকেই দায়ী করেছেন। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, সরকার একজন খুনের হাতে কী করে অস্ত্র তুলে দেয়। তাঁকে হত্যা করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়ান বন্দিরা ইউক্রেন যুদ্ধে নিজেদের রক্ত দিয়ে তাদের অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করছে। গুরুতর অপরাধে যারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে তাদেরই অস্ত্র হাতে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।