দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে নেপালে স্বীকৃতি পেল সমকামী বিবাহ, আনুষ্ঠানিকভাবে পড়ল সিলমোহর

নেপালের সুপ্রিম কোর্ট ২০০৭ সালেই সমকামী বিয়ের অনুমতি দিয়েছিল। ২০১৫ সালে গৃহীত নেপালের সংবিধানেও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে যৌন অভিমুখের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য করা যাবে না।

Parna Sengupta | Published : Nov 30, 2023 8:37 AM IST

নেপালের সুপ্রিম কোর্ট সমকামী বিয়েকে বৈধ করার পাঁচ মাস পর বুধবার প্রথম সমকামী বিবাহের আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিস্ট্রেশন হল। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সমকামী বিয়েকে বৈধতা দিয়েছে নেপাল। নেপালে যৌন সংখ্যালঘুদের অধিকার ও কল্যাণের জন্য কাজ করে এমন একটি সংগঠন 'ব্লু ডায়মন্ড সোসাইটি'-এর সভাপতি সঞ্জিব গুরুং (পিঙ্কি) এর মতে, ৩৫ বছর বয়সী ট্রান্স-ওম্যান মায়া গুরুং এবং ২৭ বছর বয়সী সমকামী সুরেন্দ্র পান্ডের বৈধভাবে বিয়ে হয়েছে এবং তাদের বিয়ে পশ্চিম নেপালের লামজুং জেলার ডোরডি গ্রামীণ পৌরসভায় রেজিস্ট্রার্ড হয়েছে।

নেপালের সুপ্রিম কোর্ট ২০০৭ সালেই সমকামী বিয়ের অনুমতি দিয়েছিল। ২০১৫ সালে গৃহীত নেপালের সংবিধানেও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে যৌন অভিমুখের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য করা যাবে না।

আইন না থাকায় সমস্যা দেখা দিয়েছে

২৭ জুন, ২০২৩-এ, সুপ্রিম কোর্ট গুরুং সহ বেশ কয়েকজনের দায়ের করা একটি রিট পিটিশনে সমকামী বিবাহকে বৈধ করার অন্তর্বর্তী আদেশ জারি করে। কিন্তু সাময়িকভাবে সমকামী বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের ঐতিহাসিক নির্দেশ সত্ত্বেও, কাঠমান্ডু জেলা আদালত প্রয়োজনীয় আইনের অভাবের কারণ দেখিয়ে চার মাস আগে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছিল। তারপর সুরেন্দ্র পান্ডে এবং মায়ার বিয়ের আবেদন খারিজ হয়েছিল।

সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পিঙ্কি বলেন, "এ বিষয়ে জেনে খুব খুশি, এটা নেপালের তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় সাফল্য। শুধু নেপালে নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় এটি প্রথম ঘটনা এবং আমরা খুব খুশি। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগতম।"

৬ বছর ধরে একসঙ্গে বসবাস

মায়া লামজুং জেলার বাসিন্দা এবং সুরেন্দ্র নওয়ালপারাসি জেলার বাসিন্দা। দুজনেই গত ৬ বছর ধরে একে অপরের সঙ্গে বসবাস করছেন। পরিবারের সম্মতিতে সনাতন পদ্ধতিতে বিয়ে করেন তাঁরা।

পিংকি বলেন, "অনেক তৃতীয় লিঙ্গ দম্পতি আছে যারা তাদের পরিচয় ও অধিকার ছাড়াই বসবাস করছে এবং এটি তাদের ভালোভাবে বাঁচতে সাহায্য করবে।" তিনি বলেন, এখন সম্প্রদায়ের বাকিদের জন্য তাদের বিয়ে বৈধ করার দরজা খুলে গেছে। পিংকি বলেন, "এই মুহূর্তে তাদের বিয়ে অস্থায়ীভাবে রেজিস্টার হয়েছে এবং এ বিষয়ে আইন করা হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থায়ী স্বীকৃতি পাবে।"

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!