বাড়ি যেন এখন আর নিরাপদ নয়! সঙ্গী কিংবা আত্মীয়দের হাতেই প্রতিদিন খুন হন ১৪০ মহিলা, বিস্ফোরক তথ্য

এই কয়েকদিন আগেকার কথা। 

সেইদিন গোটা রাজ্যজুড়ে সংগঠিত হয়েছিল মেয়েদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচি। যার মূল কথা ছিল রাতের কলকাতা যতটা পুরুষদের, ঠিক ততটাই মহিলাদেরও। কারণ, রাতের কলকাতার রাস্তাকে মহিলাদের জন্য নিরাপদ করার দাবি ছিল সেই আন্দোলনে। আর এই আন্দোলনের মূলে ছিল আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া সেই ভয়ানক ঘটনা।

তবে শুধুই কি বাড়ি কিংবা কর্মস্থল? যে বাড়ি বা ঘরকে সবথেকে নিরাপদ বলে মনে করে থাকে মানুষ, সেই বাড়িও কি মহিলাদের জন্য আদৌ নিরাপদ? রাষ্ট্রপুঞ্জর রিপোর্ট পরিষ্কার বলছে না। বরং, বাড়ি হল মহিলাদের জন্য সবথেকে বিপজ্জনক একটি স্থান।

Latest Videos

রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২০২৩ সালে প্রতিদিন গড়ে ১৪০ জন মহিলা খুন হয়েছেন তাদের অন্তরঙ্গ সঙ্গী কিংবা পরিবারের অন্য কোনও সদস্যর হাতে। সবমিলিয়ে, গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়েছেন বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫১,১০০ জন মহিলা।

এর আগে ২০২২ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৪৮,৮০০। অর্থাৎ, সেই সংখ্যাটা আরও বেড়েছে। তবে, ‘ইউএন উইমেন’এবং ‘ইউএন অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম’-এর মতে, হত্যার সংখ্যা বাড়েনি। বরং, তারা আগের থেকে বেশি তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন তারা।

উল্লেখ্য, মহিলাদের উপর হিংসার এই ছবিটা বিশ্বব্যাপী প্রায় একই বলা চলে। কারণ, বিশ্বের সর্বত্র মহিলাদের বাড়িতেই হিংসার শিকার হতে হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। ফলে, বাড়িই যেন তাদের জন্য সবথেকে বিপজ্জনক একটি জায়গা হয়ে উঠেছে।

গত ২০২৩ সালে, গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়ে মৃত মহিলার সংখ্যা সবথেকে বেশি ছিল আফ্রিকায়। ২১,৭০০ জন মহিলা মারা গেছিলেন। এদিকে এই মহাদেশের প্রতি ১ লক্ষ মহিলার মধ্যে ২.৯ জনই অন্তরঙ্গ সঙ্গী বা পারিবারিক সদস্যদের হাতে খুন হয়েছেন বলে তথ্য বলছে।

তবে তুলনামূলকভাবে কিছুটা ভালো জায়গাতে রয়েছে আমেরিকা। প্রতি ১ লক্ষ মহিলার মধ্যে গার্হস্থ্য হিংসায় খুন হয়েছেন ১.৬ জন মহিলা। ওশিনিয়াতে এই সংখ্যাটা ১.৫ এবং এশিয়াতে ০.৮। ইউরোপে সবথেকে কম, ০.৬।

তবে এইজন্য বেশ কিছু সামাজিক সমস্যাকেই দায়ী করেছেন ইউএন উইমেনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, নিয়ারাদজায়ি গুম্বনজভান্ডা। তাঁর কথায়, লিঙ্গ সংক্রান্ত স্টেরিওটাইপ এবং বিভিন্ন সামাজিক নিয়মকানুন রয়েছে এর পিছনে। তাঁর মতে, মহিলাদের উপর অধিকার কায়েম করার মানসিকতা থেকে এবং প্রভুত্ব করার মানসিকতা থেকেই এই ধরনের হত্যাগুলি হয়ে থাকে। তবে সময়োপযোগী এবং কার্যকর হস্তক্ষেপের ফলে এই হিংসা বন্ধ হতে পারে বলেই আশা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!

Latest Videos

ধান কাটা নিয়ে রণক্ষেত্র Basanti! প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ, ছুটে আসল পুলিশ
'আমরা কিন্তু চুপ করে বসে থাকব না Yunus' চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারিতে চরম হুঁশিয়ারি Agnimitra-র
রান্না করতে গিয়েই ঘটলো বিপদ! চোখের পলকে ছাই হয়ে গেলো সব, শোকের ছায়া Budge Budge-এ | South 24 Pargana
'বাংলাদেশের তালিবান ইউনূস হুঁশিয়ার' চরম হুমকি শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari on Bangladesh
Suvendu Adhikari Live: সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু, কী বার্তা, দেখুন সরাসরি