শ্রীলংকার উত্তর ও উত্তর-পূর্বের প্রদেশগুলিতে বিপুল সংখ্যক গবাদি পশুর মৃত্যু যেন আরও জটিল করে তুলেছে দ্বীপ রাষ্ট্রের পরিস্থিতিকে। গবাদি পশুর মড়কের জেরে গোরু ও পাঁঠার মাংস পরিবহণ নিষিদ্ধ করল শ্রীলঙ্কা সরকার।
খুব বিতর্কিত সময়ে রনিল বিক্রমাসিংঘ দায়িত্ব নেন শ্রীলংকার রাষ্ট্রপতি পদের । শ্রীলংকার আর্থিক সংকটের জের নিয়ে নতুন করে আর বলার কিছুই নেই। কিন্তু গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো এবার আর্থিক সংকটের সঙ্গে যোগ হয়েছে শ্রীলংকার নয়া সমস্যা খাদ্য সংকটও।এর মাঝে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বের প্রদেশগুলিতে বিপুল সংখ্যক গবাদি পশুর মৃত্যু যেন আরও জটিল করে তুলেছে দ্বীপ রাষ্ট্রের পরিস্থিতিকে।
গবাদি পশুর মড়কের জেরে গোরু ও পাঁঠার মাংস পরিবহণ নিষিদ্ধ করল শ্রীলঙ্কা সরকার।প্রশাসনের অবশ্য দাবি ঠাণ্ডার কারণেই পশুগুলির মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু তাও শ্রীলংকার জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে পারলো না এই বার্তা। তাই শনিবার এই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করে শ্রীলঙ্কার জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা দফতর। এই মৃত পশুদের মাংস খেয়ে যাতে কেউ অসুস্থ হয়ে না পড়ে সেই কারণেই মাংস পরিবহণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিক্রমাসিংঘে সরকার। তবে কতদিন এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে স্পষ্ট করেনি প্রশাসন।
শ্রীলঙ্কার প্রাণী উৎপাদন ও স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়ার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দু’তিন দিনে উত্তরের প্রদেশগুলিতে মারা গিয়েছে ৩৫৮টি গোরু। ওই এলাকায় ছাগল ও পাঁঠা মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৯১টি পশুর। এছাড়া পূর্ব দিকের প্রদেশে মারা গিয়েছে ৪৪৪টি গোরু। এছাড়া ৩৪টি মহিষ ও ৬৫টি ছাগল মারা গিয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। পশুগুলির মৃত্যুর কারণ প্রাথমিকভাবে ঠাণ্ডা বলে উল্লেখ করা হলেও এই নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি সরকার। সেই কারণে মৃত পশুগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা গবেষণাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার