২০৩০ সালের মধ্যে সামরিক শক্তি কমিয়ে এক লক্ষ করা হবে, যেখানে বর্তমানে অনুমোদিত শক্তি দু লক্ষ সাতশো তিরাশি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী বছরের মধ্যে সামরিক শক্তি এক লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজারে সীমাবদ্ধ থাকবে।
অর্থনৈতিক সংকটের সাথে লড়াই করে শ্রীলঙ্কা ঘোষণা করেছে যে তারা একটি প্রযুক্তিগত এবং কৌশলগতভাবে শক্তিশালী এবং ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিরক্ষা বাহিনী তৈরি করতে ২০৩০ সালের মধ্যে সেনাবাহিনীর বর্তমান শক্তিকে অর্ধেকে কমিয়ে দেবে। ২০২৩ সালের বাজেটে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার তুলনায় সামরিক ব্যয়ের জন্য উচ্চ বরাদ্দের সমালোচনার মধ্যে শ্রীলঙ্কা সরকার এই ঘোষণা করেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে সামরিক শক্তি কমিয়ে এক লক্ষ করা হবে, যেখানে বর্তমানে অনুমোদিত শক্তি দু লক্ষ সাতশো তিরাশি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী বছরের মধ্যে সামরিক শক্তি এক লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজারে সীমাবদ্ধ থাকবে।
শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্রমিথা বান্দারা টেনাকুন এক বিবৃতিতে বলেছেন যে কৌশলগত ব্লুপ্রিন্টের লক্ষ্য আসন্ন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ২০৩০ সালের মধ্যে একটি প্রযুক্তিগত এবং কৌশলগতভাবে শক্তিশালী এবং ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিরক্ষা বাহিনী তৈরি করা। জেনে রাখা ভালো , শ্রীলঙ্কা সরকার ২০২৩ সালের বাজেটে ৫৩৯ বিলিয়ন রুপি প্রতিরক্ষা বরাদ্দ করেছে, যা সমালোচিত হয়েছিল, কারণ শ্রীলঙ্কা ১৯৪৮ সালের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।
বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে শ্রীলঙ্কা জ্বালানি, সার ও ওষুধসহ বড় ধরনের আমদানি করতে পারছিল না। ২০২৩ সালের বাজেটে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার জন্য ৩০০ বিলিয়ন টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে।
যাইহোক, ২০০৯ সালে লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলাম (LTTE) এর সাথে সংঘাতের সমাপ্তির পর থেকে, শ্রীলঙ্কা প্রায় চার লক্ষ শক্তিশালী বাহিনীর শক্তিকে অর্ধেক করে ফেলেছে। প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে গত বছর বলেছিলেন যে শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনীকে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত করতে সামরিক কৌশলের সংস্কার প্রয়োজন। তামিল সংখ্যালঘু ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো উত্তর ও পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের সংঘাতপূর্ণ এলাকায় সেনা কমানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে।
এদিকে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে সব মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন তাদের জন্য বরাদ্দ করা আনুমানিক ব্যয় ৫ শতাংশ কমাতে। শ্রীলঙ্কার আর্থিক সংকট আরও গভীর হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, নগদ অর্থের সংকটের মুখে থাকা দেশটির অর্থনৈতিক সংকট আগের অনুমানের তুলনায় অনেক বেশি গভীর। ১৯৪৮ সালে গ্রেট ব্রিটেনের হাত থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকে শ্রীলঙ্কা সবথেকে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি এখন।
শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে গত বছরের এপ্রিলে নিজেকে আন্তর্জাতিক ঋণ খেলাপি ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। সাংবাদিকদেরকে, মন্ত্রিসভার মুখপাত্র এবং পরিবহন মন্ত্রী বন্দুলা গুনবর্ধনে বলেছেন যে প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে মন্ত্রিসভাকে জানিয়েছেন যে রাজকোষের তহবিল উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।