সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ক্ষমতা হারানোর মাধ্যমে যেন 'আরব বসন্ত' সম্পূর্ণ হল। বিদ্রোহীরা সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস দখল করে নিয়েছে।
মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধান। অগাস্টে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় যে ছবি দেখা গিয়েছিল, ডিসেম্বরে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে একই ছবি দেখা গেল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরেই তাঁর বাসভবনে ঢুকে পড়ে তাণ্ডব চালায় সাধারণ মানুষ। তারা হাতের সামনে যা পায় তাই নিয়ে যায়। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছাড়ার পর তাঁর বাসভবন আল-রাওদা প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে ঢুকে পড়ল বিদ্রোহীরা। সাধারণ মানুষের দখলে চলে গেল প্রেসিডেন্টের বাসভবন। বাংলাদেশের সরকার-বিরোধীদের মতোই সিরিয়াতেও প্রেসিডেন্টের বিরোধীরা হাতের সামনে যা পেল তাই নিয়ে গেল। বিলাসবহুল গাড়ি, দামী আসবাবপত্র, মূল্যবান গয়না, অন্যান্য দামী জিনিসপত্রের দখল নিল সাধারণ মানুষ। সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবনের আয়তন ৩১,৫০০ বর্গ-মিটার। সেই বিশাল ভবন এখন সাধারণ মানুষের দখলে।
'সাধারণ মানুষের প্রাসাদ'
সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবনে অসংখ্য পুরুষ, নারী, শিশুকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। তারা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জায়গায় ছবি তুলছে, যা পারছে ভেঙে দিচ্ছে, আসাদের পরিবারের যত ছবি আছে সব নষ্ট করে দিচ্ছে। সিরিয়ার বিদ্রোহীরা বলছে, 'জনগণের প্রাসাদ'। এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'আমি ছবি তুলছি। এখানে এসে আমার খুব ভালো লাগছে।' এক মহিলা বলেছেন, ‘আমাদের এই ভবনে আসতে দেওয়া হত না। কারণ, প্রেসিডেন্ট চাইতেন আমরা গরিব ও বঞ্চিত থেকে যাই।’
কী লুট করা হল?
সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন থেকে বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়ি, মোটর সাইকেল, সাঁজোয়া ট্রাক নিয়ে গিয়েছে বিদ্রোহীরা। এছাড়া জামাকাপড়, বাসনপত্র-সহ যা ছিল সবই নিয়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষ। বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনে গুলিও চালিয়েছে। বিদ্রোহীদের দাবি, তারা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বদলা নিতে সক্ষম হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
সিরিয়ায় অভ্যুত্থান, দেশজুড়ে বিদ্রোহীদের নতুন পতাকা, এর ইতিহাস জানেন?
সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন: আলাউই পরিবারের দশকের শাসনকাল কেমন ছিল?
চূড়ান্ত গৃহযুদ্ধ অব্যাহত! দেশ ছেড়ে পালালেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ