ফেসিয়াল করতে গিয়ে বিপত্তি! এইচআইভি আক্রান্ত হলেন তিন মহিলা, ঘটনা জানলে চোখ কপালে উঠবে

নিউ মেক্সিকোর একটি স্পাতে তথাকথিত 'ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল' করার পর তিন মহিলা সম্ভবত মারাত্মক অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

Anulekha Kar | Published : Apr 27, 2024 7:11 AM IST

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) কসমেটিক ইনজেকশনের কারণে এইচআইভি সংক্রমণের ঘটনা প্রকাশ্যে এল। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিডিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নিউ মেক্সিকোর একটি স্পাতে তথাকথিত 'ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল' করার পর তিন মহিলা সম্ভবত মারাত্মক অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

২০১৮ সালে, আলবুকার্কের ভিআইপি স্পায়ে প্রথম এইচআইভি সংক্রমণের ঘটনা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। ওই সময়ে একজন মধ্যবয়সী মহিলার স্পা করানোর পরে এইচআইভি রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

এনবিসি নিউজের খবর থেকে জানা যায়, যে ওই এইচআইভি আক্রান্ত মহিলাটির কোনও ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ড্রাগ ব্যবহার, এইচআইভি আক্রান্ত কারও সঙ্গে যৌন যোগাযোগ বা সম্প্রতি রক্তদানের কোনও ইতিহাস ছিল না। পরে তদন্তকারীরা এইচআইভি সংক্রমণ ছড়াতে পারে এমন চিহ্নিত করার পরে ওই স্পাটি বন্ধ করে দেয়।

সিডিসি মারফত জানা যায় যে এই স্পাটি পরিচালনা করার জন্য উপযুক্ত লাইসেন্স ছিল না এবং এই স্পা-য়ে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয় তদন্ত করতে গিয়ে এই স্টোরের রান্নাঘরের কাউন্টারে, রান্নাঘরের ফ্রিজে, খাবার এবং স্থানীয় চেতনানাশক লিডোকেনের মতো ইনজেকশনের পাশে লেবেলবিহীন রক্তের বেশ কিছু টিউব পাওয়া যায়। ড্রয়ারে, কাউন্টারে এবং ট্র্যাশ ক্যানগুলিতেও প্রচুর মোড়ান সিরিঞ্জ পাওয়া যায়।

শুধু তাই নয়, ২০১৯ এবং ২০২৩ সালে আরও দু'জন মধ্যবয়সী মহিলার এইচআইভি ধরা পড়ে। ২০১৮ সালে আরও একটি ভিআইপি স্পা ক্লিনিকে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করার পরে এক মহিলার এইচআইভি পজিটিভ ধরা পড়ে।

সিডিসি এবং স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্ত অনুযায়ী মোট ৫৯ জনকে পরিষেবা দেয় এই স্পা ক্লিনিক। এর মধ্যে ২০ জন ভ্যাম্পায়ার স্পা করেন, বাকিরা বোটক্সের মতো পরিষেবার জন্য ইনজেকশন নেয়। তবে তদন্তকারীদের মতে, স্পা-তে এইচআইভি সংক্রমণের আসল উৎস এখনও অজানা।

২০২২ সালে ভিআইপি স্পা'র মালিকরা লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ ব্যবহার-সহ পাঁচটি গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এবং তাদের সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

তথাকথিত ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল সম্প্রতি বিশ্বজোড়া জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই ফেসিয়ালের কারণে ঝুলে পড়া ত্বককে প্লাম্প করে টানটান করা হয় এবং ব্রণর দাগ বা বলিরেখা হ্রাস করা হয়। তবে আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি (এএডি) এর মতে, এই ফেসিয়াল এই সব সাহায্য করতে পারে এমন খুব কম প্রমাণ রয়েছে।

এই পদ্ধতিতে রক্ত বের করা, প্লাজমা পৃথক করা এবং তারপরে ক্ষুদ্র সূঁচ ব্যবহার করে মুখে ইনজেকশন দেওয়া হয়। তাই এই ফেসিয়ালের মাধ্যমে সহজেই এইচআইভি ছড়িয়ে পড়ে।

Share this article
click me!