সিবিআই কর্মকর্তাদের কথায় রয়েছে এজেন্টরা রাশিয়ার আসা ভারতীয়দের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করেছে। তারপরই তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে বাধ্য করেছে।
রাশিয়ায় চাকরি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টোপ থেকে এবার সাবধান হয়ে যান। সিবিআই ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে সতর্ক করেছে। কারণ সিবিআই -এর স্ক্যানারে রয়েছে দুই রাশিয়ান এজেন্ট। সিবিআই কর্মকর্তাদের অনুমান ভারত থেকে চাকরি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টোপ দিয়ে রাশিয়া নিয়ে যায়। আর সেখান থেকে সোজা পাঠিয়ে দেয় যুদ্ধের বধ্যভূমি ইউক্রেনে।
সিবিআই কর্মকর্তাদের কথায় রয়েছে এজেন্টরা রাশিয়ার আসা ভারতীয়দের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করেছে। তারপরই তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে বাধ্য করেছে। বৃহস্পতিবার সিবিআই-এর হাতে সেই নেটওয়ার্ক সম্পর্কে একটি বড় তথ্য এসেছে। সিবিআই সূত্রের খবর রাজস্থানের বাসিন্দা ক্রিস্টিনা ও নইনুদ্দিন চিপ্পা রাশিয়ায় রয়েছে। সেখানে লাভজনক চাকরির সুযোগ দেওয়ার টোপ দিয়ে ভারত থেকে রাশিয়ায় মানুষ পাচারে সাহায্য করছিল।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার এফআইআর করেছে। নাম রয়েছে ১৭টি ভিসা পরামর্শদাতা সংস্থা ও তাদের মালিকের। ভারতের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা এজেন্টদের নামও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সংস্থাটির বিরুদ্ধে অপরাধমূলক যড়যন্ত্র, প্রতারণা ও মানুষ পাচার সংক্রান্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিবিআই অভিযোগ করেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে রাশিয়ান সেনাবাহিনী, নিরাপত্তারক্ষী, হেল্পারের চাকরিতে নিয়োগ করছে ভারতীয়দের। উন্নত জীবন, ভাল চাকরি, শিক্ষা এজাতীয় টোপ দিয়েই তারা ভারত থেকে মানুষ নিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ভারতীয়দের থেকে তারা মোটা অঙ্কের টাকাই নিয়েছে।
Viral Video: টেক-অফের পরই খুলে পড়েগেল বিমানের চাকা, তারপর কী হল জানতে দেখুন ভাইরাল ভিডিও
সিবিআই-এর অনুমান এজেন্টরা শিক্ষার্থীদের সরকারী বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে রাশির সন্দেহজনক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দিয়ে প্রতারণা করে। ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে তাদের স্থানীয় এজেন্টদের হাতে তুলে দেয়। ভারতীয়রা যখন রাশিয়া পৌঁছে যায়, তখনই তাদের থেকে পাসপোর্ট নিয়ে নেওয়া হয়। তারপরই তাদের বাধ্য করা হয় সেনা বাহিনীতে যোগ দিতে।
Foodi: বিশ্বের সেরা ৩৮টি কফির মধ্যে ভারতের ফিল্টার কফি কত নম্বরে? জানলে ভাল লাগবে আপনারও
সিবিআই সূত্রের খবর এজাতীয় পাচারচক্র রয়েছে দিল্লি, তিরুবন্তপুরম, মুম্বই , আম্বালা, চণ্ডীগড়, মাদুরাই, চেন্নাই সহ প্রায় ১৩টি স্থানে। সেগুলিতেই ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা ও প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।