চিনের কোভিড পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর, আরও বেশি তথ্য চাইল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

চিন সরকার জানিয়েছে বর্তমানে ৫৫০৩ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় মারা গেছে। ৪-১২ জানুয়ারি কোভিড-১৯এর সঙ্গে ক্যান্সার , হৃদরোগ ও অন্যান্য অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয়েছে ৫৪,৪৩৫ জনের।

 

চিনের কোভিড ১৯ পরিস্থিতি রীতিমত উদ্বেগজনক। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এই অবস্থায় করোনাভাইরাসের তথ্যের কোনও স্বচ্ছতা নেই। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্ত্য সংস্থা। চিনা সরকার জানিয়েছে ডিসেম্বর থেকে শুরু করে এপর্যন্ত ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। চিন সরকার এই তথ্য ঘোষণার পরই কোভিড-১৯ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

চিনে ক্ষমতাসীন কমিনিউস্ট পার্টি ডিসেম্বরে দেশ জুড়ে কঠোর কোভিড নীতির বিরোধিতার পরই আচমকা বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়। চিন সরকার কোভিড নিয়ে তারপর থেকে ডেটা বা তথ্যও সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল। শনিবার বেজিং আচমকাই জানিয়ে দেয় চিনে ডিসেম্বর থেকে এপর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত সংখ্যা এতটাই বেড়েছে হাসপাতালগুলিতে শয্যার সংখ্যা বাড়াতে হচ্ছে। তারপরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ চিনের কাছে কোভিড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের আবেদন জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশে চিন থেকে যাওয়ার যাত্রীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। চিনা নাগরিকদের ওপর কঠোর করা হয়েছে নিরাপত্তা।

Latest Videos

চিন সরকার জানিয়েছে বর্তমানে ৫৫০৩ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় মারা গেছে। ৪-১২ জানুয়ারি কোভিড-১৯এর সঙ্গে ক্যান্সার , হৃদরোগ ও অন্যান্য অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয়েছে ৫৪,৪৩৫ জনের।

চিনের এই তথ্যের পরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, মহামারি সংক্রান্ত পরিস্থিতি আরও ভালভাবে বোঝার আর অধ্যায়ন করার জন্য চিনকে আরও বেশি ও বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধনাম ঘেব্রেয়েসুস চিনা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা জিয়াওইয়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন বলও জানান হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এই সংস্থা অনুরোধ করেছে এই ধরনের বিস্তারিত তথ্য তাঁদের ও বিশ্বের বাকি দেশগুলির সঙ্গে চিন সরকারকে ভাগ করতে নিতে হবে। আগামী দিনেই এই কর্মসূচি বজায় রাখা জরুরি।

তবে চিনা জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলেছে,শুধুমাত্র হাসপাতালের মৃত্যুই গণনা করা হয়েছে। যারা বাড়িতে মারা গেছে তাদের সম্পর্কে কোনও তথ্য এখনও সরকারের হাতে নেই। তবে কবে সেই তথ্য আপডেট করা হবে তা সম্পর্কে চিন সরকার এখনও পর্যন্ত কোনও ইঙ্গিত দেয়নি। একজন স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেছেন ২৩ ডিসেম্বর থেকে প্রবল জ্বর নিয়ে ক্লিনিকে আসা মানুষের সংখ্যা ৮৩ শতাংশ থেকে বর্তমানে কিছুটা কমেছে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

Mamata Banerjee: 'মোদী কিছু দেয় নি আমি ৫০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছি' বিতর্কিত মন্তব্য মমতার
‘সবরমতি রিপোর্ট’ দেখলেন বিজেপির হেভিওয়েটরা! দেখুন কী বার্তা দিলেন সিনেমার ব্যপারে | Sabarmati Report
নার্স হেনস্থার ঘটনায় বড় পদক্ষেপ! হাসপাতাল চত্বরে কড়া সিসিটিভি নজরদারি | Birbhum News Today
দেরিতে আসায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে কড়া ধমক MLA অসিত মজুমদারের, দেখুন ভিডিও
Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি