প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষা করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। এর সাথে WHO আবারও সবাইকে মাস্ক পরার এবং করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিনিয়ত তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনা ভাইরাস। চীনেও এই সর্বশেষ তরঙ্গে কয়েক লাখ মানুষ মারা গেছে। চিন, আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ইত্যাদি দেশে সংক্রামিতদের জিনোম সিকোয়েন্সিং-এ নতুন কোভিড-১৯ সাবভেরিয়েন্টের তথ্য পাওয়া গেছে। এ কারণে সারা বিশ্বে এই মহামারীর আরেকটি ঢেউ আসার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষা করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। এর সাথে WHO আবারও সবাইকে মাস্ক পরার এবং করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে।
করোনার নতুন নির্দেশিকা তিনটি পয়েন্টে জেনে নিন
১০ দিনের আইসোলেশন পিরিয়ড
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে যদি কোনও ব্যক্তির সংক্রমণের লক্ষণ দেখা যায় তবে তাকে কমপক্ষে ১০ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রাখা উচিত। উপসর্গ দেখা দেওয়ার দিন থেকে এই গণনা শুরু হবে। এর আগে, WHO নির্দেশিকা জারি করেছিল কোভিড -১৯ উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিকে ১০ দিনের জন্য বিচ্ছিন্ন রাখতে এবং তার পরে তাকে কমপক্ষে তিন দিন পর্যবেক্ষণ করতে।
হু বলেছে যে যদি কোনও কোভিড রোগীর আরটি-পিসিআর পরীক্ষা নেগেটিভ আসে, তবে তার আইসোলেশনের সময়কাল হ্রাস করা যেতে পারে। যারা পজিটিভ টেস্ট করলেও কোনো উপসর্গ নেই তাদের এখন ১০-এর পরিবর্তে পাঁচ দিনের জন্য আলাদা থাকতে হবে।
মাস্ক পরা এখনও খুবই গুরুত্বপূর্ণ
WHO পরামর্শ দিয়েছে যে ভিড়ের মধ্যে মাস্ক পরা উচিত। স্থানীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসের নতুন কোনো ঘটনা না ঘটলেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই মহামারীর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মাস্ক পরাটাই সবচেয়ে বড় সুরক্ষা।
যারা সম্প্রতি করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাদেরও মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে ডব্লিউএইচও। যাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ রয়েছে, যারা গুরুতর করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ-ঝুঁকির তালিকায় রয়েছেন বা যারা জনাকীর্ণ, বন্ধ বা খুব কম বায়ুচলাচল স্থানে উপস্থিত রয়েছেন।
এই ওষুধ দিয়ে চিকিত্সা করা হবে
ডব্লিউএইচও করোনাভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসায় নিমট্রেলভির-রিটোনাভির ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়া WHO আরও দুটি ওষুধ সোট্রোভিমাব এবং কাসিরিভিমাব-ইমডেভিমাব পর্যালোচনা করেছে। এই দুটি ওষুধ ব্যবহার না করার জন্য সবাইকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে WHO।