প্রথম ম্যাচ থেকেই খারাপ রেফারিংয়ের অভিযোগ করে আসছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোচ রিব ফাউলার। প্রতিযোগিতা যত এগিয়েছে ততই খারাপ রেফারিংয়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন লিভারপুল কিংবদন্তী। নর্থইস্টের বিরুদ্ধে ম্যাচ হারলেও তার দলকে দুটি নিশ্ছিৎ পেনাল্টি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন ফাউলার। সেই আগুনেই ঘৃতাহুতি যোগ হয় জামশেদপুর ম্য়াচে লিংডোর রেড কার্ড। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচের ২৪ মিনিটেই জোড়া হলুদ কার্ড দেখে মাঠের বাইরে যেতে হয় লিংডোকে। পুরো ম্যাচ ১০ জনে খেলেও ওয়েন কোয়েলের দলকে রুখে দেয় লাল হলুদ ব্রিগেড। ফাউলারের দাবি দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের সময় লিংডো বলেই পা চালিয়েছিলেন, বিপক্ষের প্লেয়ারের পায়ে নয়ষ তা সত্ত্বেও তাকে রেড কার্ড দেখান রেফারি।
ম্য়াচ শেষে রেফারিংয়ের মান নিয়ে নিজের সুর সপ্তমে নিয়ে যান রবি ফাউলার। কার্যত তোপ দেগে তিনি বলেন,'আমরা মাঠে বারোজনের বিপক্ষে খেলেছি। কখনও বলব না সব সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষেই যাবে। অথচ সকলে দেখছে, কীভাবে একের পর এক সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে যাচ্ছে। জামশেদপুর ম্যাচে সকলে নিজেদের নিংড়ে দিয়েছে। যেমন আমরা আক্রমণে গিয়েছি। ভাল সামলেছে রক্ষণও। আমরা যথেষ্ট ভাল খেলেছি। তাছাড়া প্রথম আমরা পয়েন্ট অর্জন করলাম।' ১০ জনে ৭০ মিনিট ফুটবল খেলে তার দল যেভাবে ম্যাচ বাঁচিয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন রবি ফাউলার। এবার পঞ্চম ম্যাচে নামার আগে রেফিরিংয়ের মান নিয়ে ফেডারেশনের কাছে অভিযোগ পত্র জমা দিল লাল-হলুদ শিবির। আগামি ম্যাচগুলিতে যাতে এমন নিম্নমানের রাফারিং না হয়, তারও দাবি জানানো হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেক।
প্রসঙ্গত এবার আইএসএলে রেফারিং নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। শুধু এসসি ইস্টবেঙ্গল নয়, অন্যান্য দলরাও রেফারিং নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। অভিযোগ পত্র জমা দিয়ে এক লাল হলুদ কর্তা বলেছেন, আমরা শেষ তিনটে ম্যাচে খারাপ রেফারিংয়ের শিকার হয়েছে। সব তথ্য ফেডারেশনকে জমা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি আগামি ম্যাচগুলিতে এমন হবে না। অন্যান্য দলকেও খারাপ রেফারিংয়ের বিরুদ্ধে ফেডারেশনের দ্বারস্থ হওয়া উচিৎ।' রেফারিং নিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ফেডারেশনকে চিঠি অন্য দলকেও রাস্তা খুলে দিল বলেই মনে করছে ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।