রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে মোট ৯ ধারায় মামলা দায়ের, হিংসামূলক উসকানি -সহ আরও কী বিষয়ে অভিযোগ

গোয়া থেকে রোদ্দুর রায়কে গ্রেফতারেরর পর মোট ৯টি ধারায় মামালা রুজু করা হয়েছে। উল্ল্যেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে। লালবাজারের সাইবার সেলের কর্তারা গোয়ায় গিয়ে রোদ্দুর রায়কে গ্রেফতার করেছেন।বুধবার রোদ্দুর রায়কে কলকাতায় আনা হবে। 

Web Desk - ANB | Published : Jun 8, 2022 2:49 AM IST / Updated: Jun 08 2022, 08:25 AM IST

গোয়া থেকে রোদ্দুর রায়কে গ্রেফতারেরর পর মোট ৯টি ধারায় মামালা রুজু করা হয়েছে। উল্ল্যেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে নিয়ে সদ্য করা ফেসবুক লাইভে অশালীন মন্তব্য করেছে রোদ্দুর রায়। এরপরেই রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত। পাশাপাশি হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। লালবাজারের সাইবার সেলের কর্তারা গোয়ায় গিয়ে রোদ্দুর রায়কে গ্রেফতার করেছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধি অুযায়ী রোদ্দু রায়ের বিরুদ্ধে ১৫৩, ১৫৩ এ, ১২০বি, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৮,৫০১, ৫০৫, ৫০৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার রোদ্দুর রায়কে কলকাতায় আনা হবে। 

প্রমাণিত হলে ৭ বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে

ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ১৫৩ ধারা মূলত, যদি কোনও ব্যাক্তি অসৎ উপায়ে, ইচ্ছাকৃতভাবে বেআইনি কিছু করে, জেনে বুঝে হিংসামূলক ইস্যুতে উসকানি দেয়, তা প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১ বছর জেল হতে পারে বা জরিমানা হতে পারে।। পাশাপাপাশি , ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ১৫৩  এ ধারায়, কেউ যদি জাতি, ধর্ম, ভাষা, জন্মস্থান, বাস্থস্থানের ভিত্তিতে বিভিন্ন সম্পদ্রায়ের মধ্যে অশান্তি তৈরি করে , ক্ষতি করে, সেক্ষেত্রে এই জামিন অযোগ্য ধারায় শাস্তি হতে পারে। এদিকে অপরাধমূলক ষড়য়ন্ত্র প্রমাণিত হলে ১২০ বি ধারা প্রযোয্য হবে। সেক্ষেত্রে ২ বছরের জেল। ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ৪৬৫ ধারায় কেউ জালিয়াতি প্রমাণিত হলে  ২ বছরের জেল হবে। বা জরিমানা হতে পারে।।এটি এখটি জামিন অযোগ্য ধারা। ৪৬৮ ধারা প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি  প্রমাণিত হলে ৭ বছরের জেল। ৫০১ ধারা মানহানিকর বিষয়ে লেখা বা ছাপানো। দোষী প্রমাণিত হলে ২ বছরের জেল।সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলতে পারে এমন কোনও বক্তব্যের ক্ষেত্রে  ৫০৫ ধারা প্রযোয্য। প্রমাণিত হলে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। এটিও একটি জামিন অযোগ্য ধারা।

আরও পড়ুন, বিকৃত গান-কবিতা আসলে তাঁর গবেষণার বিষয়, গ্রেফতার দিল্লির প্রাক্তন আইটি কর্মী রোদ্দুর রায়

রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

সম্প্রতি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন রোদ্দুর রায়। দেড় ঘন্টার সেই লাইভে একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। নিজস্ব ভঙ্গিতেই আক্রমণ করেন বিশিষ্ট জনকে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। লাইভে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও  অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন রোদ্দুর রায়। আর তারপর পরই  রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় লিখিত অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত। একদিকে যেমন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মিটিং মিছিল হলে রাস্তায় সাধারণ মানুষ ভুক্তভুগি হয়ে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন রোদ্দুর রায় ওই ফেসবুক লাইভে।

আরও পড়ুন, মিলল সিসিটিভি ফুটেজ, পরিচিত কেউ কি এসেছিলেন ? ভবানীপুর জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

মদন মিত্রকেও অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন

অপরদিকে অভিষেকের বাইক সফর নিয়েও কটা করে অশালীন ভাষায় কথা বলেন। আর এরপরেই স্বাভাবিকভাবেই চটে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে গায়ক কেকে ইস্যু নিয়ে রূপঙ্করকেও কথা বলতে ছাড়েননি তিনি। সেখানেও রাজ্য প্রশাসনের কথা এসেছে। সেদিন নজরুল মঞ্চে উপস্থিত থাকা মদন মিত্রকেও অশালীন ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যায় রোদ্দুর রায়কে। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে 'দিদি' সম্বোধন করে তিনি কুরুচিকর মন্তব্য করেন। নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক নিয়েও কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন, 'দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করুন', হাসিমারা বনবাংলোয় বসেই ভবানীরপুর খুনে সিপিকে ফোন মমতার

Read more Articles on
Share this article
click me!