সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস হবে বিধানসভায়, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

  • কেরল, পঞ্জাবের পথে পশ্চিমবঙ্গও
  • সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস করা হবে বিধানসভাতে
  • ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর
  • উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে এনপিআর লাগু না করার আহ্বান

কেরল ও পঞ্জাবের পথেই এবার হাঁটতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গও।  খুব তাড়াতাড়ি সিএএ প্রত্যাহারের দাবিতে প্রস্তাব পাস করা হবে এ রাজ্যের বিধানসভাতেও। উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে তেমনটাই জানালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  শুধু তাই নয়, অসম, ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও এনপিআর লাগু না করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। বিতর্কিত এই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে দেশের সর্বত্রই। অবিজেপি সরকার থাকা বহু রাজ্যই সিএএ কার্যকর না করার কথাও জানিয়ে দিয়েছে। প্রথম রাজ্য হিসেবে নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে বিধানসভায় এনেছিল কেরলের বাম সরকার। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছিলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের পরিপন্থী। এই আইন পাস হওয়ার পরে দেশজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। দেশের ধর্মনিরপেক্ষতায় রক্ষার খাতিরেই আইনটি প্রত্যাহার করা উচিত কেন্দ্রের। শাসক জোট বটেই, কেরল বিধাসভায় সিএএ প্রত্যাহারের দাবিতে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন বিরোধীরাও। প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন সে রাজ্যের একমাত্র বিজেপি বিধায়ক ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজাগোপাল।  বস্তুত, দেশের সমস্ত অবিজেপি রাজ্য সরকারকে চিঠিও দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সিএএ-র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করেছে কেরল সরকার।

Latest Videos

আরও পড়ুন কলকাতার কাছেই বাঘের আতঙ্ক, কোন্নগরে ভয় ধরাল সিসিটিভি-র ছবি

কেরলের পর নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাব পাস হয় কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাবে।  মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে নোট পাঠিয়ে আইনের বেশ কয়েকটি জায়গায় পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়েছে। যদি সেই জায়গাগুলি পরিবর্তন করা হয়, তাহলে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মেনে নেওয়া হবে। আর এবার সেই তালিকায় নাম উঠতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গেরও। সিএএ প্রত্যাহারের দাবিতে বিধানসভায় প্রস্তাব করার কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে এ রাজ্যের বিধানসভায় নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাব করার দাবি তুলেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু তখন পদক্ষেপ করতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী।

শুধু নাগরিকত্ব আইন বিরোধিতা প্রস্তাব করাই নয়, উত্তর-পূর্ব রাজ্যেগুলিতে এনপিআরও লাগু না করারও আবেদন জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বক্তব্য, 'এনপিআর-র অনেক নিয়মের সঙ্গে নাগরিকত্ব আইনের যোগ আছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।' উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে বিতর্কের জেরে এ রাজ্যে এনপিআর-র কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, 'এ রাজ্যে এনপিআর সংক্রান্ত কোনও কাজ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমোদন ছাড়া করা যাবে না।'

Share this article
click me!

Latest Videos

'এটা কোন মুখ্যমন্ত্রী? হিন্দুদের দায়িত্ব মুসলিমরা নেবে, বাংলাদেশ হয়ে যাবে তো' | Suvendu Adhikari
রাগের মাথায় এ কী করে বসলো স্বামী! দেখলে আঁতকে উঠবেন, চাঞ্চল্য Nadia-এ | North 4 Parganas News Today
'আজ অনুপ্রেরণার ছবি হাওয়া, নেতাজিময় চারিদিক' জোর দিলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari on Netaji
নেতাজির 'মৃত্যুদিন' ঘোষণা রাহুলের, ক্ষোভ উগরে একহাত নিলেন সুকান্ত মজুমদার | Sukanta on Rahul
‘Mamata Banerjee আর Modi দুজনেই ‘বিভাজনের রাজনীতি করছেন’ বিস্ফোরক মন্তব্য Adhir Ranjan Chowdhury