এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে। এদিনই একাধিক সংবাদপত্রের বড়বাজারে বাঙালী ব্যবসায়ী হেনস্থার খবরের স্ক্রিনশট শেয়ার করে দফায় দফায় টুইট পোস্ট করা হয় বাংলা পক্ষের তরফে।
সম্প্রতি বড়বাজারে(Barabazar in Kolkata) বাংলা ভাষায়(Bengali Language) কথা বলার ‘অপরাধে’ হেনস্থার শিকার হতে হয় এক বাঙালি ব্যবসায়ীকে(Bengali businessman)। যা নিয়ে গতকাল থেকেই লাগাতার বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছে বাংলা পক্ষ(Banglapokkho)। বাংলা পক্ষের অভিযোগ রামেশ্বর হালদার নামে এক ভদ্রলোককে সম্প্রতি বড়বাজারের বহিরাগত গুন্ডারা মেরেছে বাংলায় কথা বলার অপরাধে। এমনকী বাংলায় কথা বলার জন্য ফতেমা আখতার নামে এক তরুণীকে হেনস্থা ও শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তারপর থেকেই বাঙালী বিদ্বেষের এই অবস্থার বদল চেয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাংলা পক্ষের তরফে একটি টুইটার ক্যাম্পেইনের(Twitter Campaign) ডাক দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই তাতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। #AntiBengaliBarabazar এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে চলছে প্রচার। বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তর এবং প্রধানকে মেনশন করেও দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাপক্ষ। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাপক্ষের প্রধান গর্গ চট্টোপাধ্যায়(Garga Chattopadhyay)।
এদিকে এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে। এদিকে এদিনই একাধিক সংবাদপত্রের বড়বাজারে বাঙালী ব্যবসায়ী হেনস্থার খবরের স্ক্রিনশট শেয়ার করে দফায় দফায় টুইট পোস্ট করা হয় বাংলাপক্ষের তরফে। সেখানে প্রশাসনের কাছে দ্রুত দোষীদের ধরে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি লেখা হয়, বড়বাজার কলকাতায়, বাংলার মাটিতে। কিন্তু বাংলায় কথা বলার জন্য বাঙালী ব্যবসায়ী রোহিত মজুমদারকে "বাংলাদেশী" বলে হেনস্থা করেছিল। বাঙালি নিজের মাটিতে রোজ মার খাবে তা চলতে দেওয়া যায় না। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক। পাশাপাশি গর্গ চট্টোপাধ্যায় নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে সরব হয়েছেন। সেখানে তিনি লেখেন “বড়বাজারে বাঙালি ব্যবসায়ীরা রোজ অত্যাচারের শিকার হয়, মার খায়, ব্যবসা দখল হয়। বড়বাজারে বাংলায় কথা বলা অপরাধ। বড়বাজারে বাঙালির নিরাপত্তা চাই। @BanglaPokkho লড়ছে। পুলিশ-প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।”
বাংলা পক্ষের সাফ দাবি, বড়বাজারে বাঙালি ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বড়বাজার বাংলায় অবস্থিত কিন্তু বড়বাজারে বাংলায় কথা বলা যায় না। বাঙালী বিদ্বেষের এই অবস্থার বদল চেয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই আজকের প্রচারাভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে সংগঠনের তরফে। এমনকী একাধিক তথ্য তুলে ধরে তাদের আরও দাবি, বড়বাজার তৈরী করেছিল শীল, বসাক সহ বাঙালি ব্যবসায়ীরা। বহিরাগতরা বড়বাজার দখল করে বাঙালিদের মারে, বাঙালিকে অপহরণ করে, বাঙালির দোকান জ্বালায়, ভয় দেখায়, জাতি তুলে গালি দেয়। এর প্রতিবাদ করেছিল বীর বাঙালি শহীদ সব্যসাচী মন্ডল। বহিরাগত গুন্ডা, মাফিয়াদের হাতে তাকে খুন হতে হয়। ফের সেই ছায়া ফিরে আসছে কলকাতার বড়বাজারে। প্রশাসন যতক্ষণ না দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেবে ততক্ষণ বাংলাপক্ষের আন্দোলন জারি থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- ৫ রাজ্যে ভোটে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে বিজেপি, অগ্নিপরীক্ষা মোদীর