কাশ্মীরে ছিল প্রাণের ভয়, বাংলায় নেমে বেকারত্বের ভয় বাঙালি শ্রমিকদের

  • রাজ্যে এসেও স্বস্তি মিলল না বাঙালি শ্রমিকদের
  • মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে কাজ চাইলেন কাশ্মীর ফেরতরা
  • শ্রমিকদের আশ্বস্ত করলেন ফিরহাদ হাকিম
  • কবে কাজ মিলবে অনিশ্চয়তার মধ্যে সবাই 

 

 

ঘরে এসেও আতঙ্ক কাটল না। কাশ্মীর থেকে রাজ্যে ফিরে নতুন আশঙ্কায় বাঙালি শ্রমিকরা। সবার মুখে এক কথা, ফিরে এলাম তবে.খাবটা কি ? কে কাজ দেবে আমাদের। স্বাভাবিকভাবেই কাশ্মীর ফেরত বাঙালিদের এই কথা শুনে রাজ্য রাজনীতিতে অক্সিজেন পাচ্ছে বিজেপি। কদিন  আগেই এই একই কথা শোনা গিয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে। 

রাজ্যে কাজ নেই তাই কাশ্মীরে যেতে বাধ্য হন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা। সম্প্রতি কাশ্মীরে জঙ্গিদের হাতে নিহত পাঁচ বাঙালি শ্রমিক নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যার তীব্র বিরোধিতা করেছিল তৃণমূল। শাসক দলের তরফে বলা হয়েছিল, কাশ্মীরে মোদী সরকার নিরাপত্তা দিতে পারছে না তাই বাঙালিদের মরতে হচ্ছে। সেকারণে রাজ্যে নিরাপত্তা দিয়ে বাঙালি শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনা হবে। সোমবার রাজ্যে ফিরে দিলীপ ঘোষের সুরই শোনা গেল কাশ্মীর ফেরত বাঙালি শ্রমিকদের মুখে। যা আদতে ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়াল তৃণমূল কংগ্রসের কাছে। 

Latest Videos

এদিন কলকাতা স্টেশনে কাশ্মীর থেকে ১৩৮জন বাঙালি শ্রমিককে ফিরিয়ে আনা হয়। যাদের মধ্যে দুই দিনাজপুরেরই ছিলেন  ১১৮ জন বাঙালি শ্রমিক। এছাড়াও বীরভূমের ৮, মালদহের ১, উত্তর ২৪ পরগনার ২, জলপাইগুড়ি জেলার ২ শ্রমিক ছিল এই দলে। এই দলে রয়েছেন অসমের পাঁচ শ্রমিক। এদের বেশিরভাগই জম্মু কাশ্মীরের বারমুল্লা জেলায় কাজ খুঁজে নিয়েছিলেন। কাশ্মীর ফেরত বাঙালি শ্রমিকদের মধ্য়ে বেশিরভাগই দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডির বাসিন্দা।  রাজ্য়ে পা রেখেই সবার মুখে এক কথা, রাজ্য সরকার কিছু করে দিলে ভালো হয়। না হলে বেকারত্বের জ্বালায় ভুগতে হবে তাঁদের। রাজ্যে কাজ না থাকলে ফের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হবে অন্য রাজ্যে। 

সোমবার কলকাতা স্টেশনে ট্রেন থামতেই কাশ্মীর ফেরত বাঙালি শ্রমিকদের নিতে এলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি বলেন, ওনারা আতঙ্কে রয়েছেন তাই মুখ্য়মন্ত্রী দায়িত্ব নেন। এবার পরিবারের কাছে বাঙালিদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। স্টেশন থেকে সবাইকে বাড়ির বাসে তুলে দেবে রাজ্য সরকার। কাশ্মীরে মোদী-অমিত শাহদের দায়িত্বে বাঙালিদের কোনও নিরাপত্তা ছিল না, তাই মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে এসেছেন। ওখানে যারা কাজ করতেন, তাঁরা সিজনাল শ্রমিক ছিলেন বলে মন্তব্য করেন ফিরহাদ।  

মন্ত্রীর এই কথা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ ততক্ষণে সংবাদ মাধ্য়েম অনেকেই জানিয়ে দিয়েছেন, পেটের তাগিদে কাশ্মীরে ২৩ বছর ধরে ছিলেন তাঁরা।  একটি নির্দিষ্ট মরশুমে কাজ করতে যেতেন না তাঁরা। অনেকেই ভেবেছিলেন ঘরে ফিরে কাজ পাবেন এই শ্রমিকের দল। কিন্তু সেই ধরনের কোনও আশার বাণী শোনা যায়নি পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর মুখে।  

Share this article
click me!

Latest Videos

'একটা আস্ত অশিক্ষিত...গোটা রাজ্যটাই জঙ্গিদের হাতে' কড়া বার্তা শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari
Suvendu Adhikari Live: এগরায় জনসভা শুভেন্দুর, কী বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘Bangladesh-কে মারতে হবে না চোখ দেখালেই যথেষ্ঠ’ বাংলাদেশকে ধুয়ে দিলেন Dilip Ghosh | Bangladesh News
'উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করব', এগরার জনসভায় এসে কাকে বললেন Suvendu Adhikari ?
Dev Adhikari : এবার কী আসছে খাদান ২? খাদান সাফল্য পেতেই বড়সড় ঘোষণা দেব-যীশুদের