মুর্শিদাবাদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে যখন রাজ্য়পালের সঙ্গে সরকারের সংঘাত চরমে, তখন ফের রাজ্য়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তুলল বিজেপি। বাংলায় দলের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর বক্তব্য়, চারদিনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ৮ জন শুভানুধ্যায়ী খুন হয়ে গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, প্রতিটি ঘটনার নেপথ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী তাঁর আরও অভিযোগ, এ রাজ্য়কে 'টেরর স্টেট'-এ পরিণত করতে চাইছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বস্তুত, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে শনিবার কলকাতায় গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। শুধু তাই নয়, রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কটাক্ষও করেছেন তিনি।
'এদিকে মানুষ খুন হচ্ছে, অন্যদিকে মস্তি চলছে', পুজো কার্নিভালকে কটাক্ষ দিলীপের, দেখুন ভিডিও...
মঙ্গলবার, বিজয়ী দশমীর দিন, মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের নিজের বাড়িতে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ও ছেলে- সহ নৃশংসভাবে খুন হয়ে যান এক শিক্ষক। আততায়ীদের গ্রেফতার করা তো দূর, হত্য়াকাণ্ডের কারণ বা মোটিভ সম্পর্কেই নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারীরা। এদিকে সূত্রের খবর, জিয়াগঞ্জের নিহত শিক্ষক নাকি আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পারিবারিক বিবাদে খুনের সম্ভাবনাও পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে রাজ্য় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রাক্তন এই বিজেপি নেতা। রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সংবিধানিক প্রধানকে সংযত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। শুক্রবার মেদিনীপুরে দলের সভা শেষে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, 'জিয়াগঞ্জে ওই শিক্ষক ও তাঁর পরিবারের লোকেদের খুন করেছেন বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা। আর তাদের মদত দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতারা।' শুধু তাই নয়, স্রেফ বিজেপি করার অপরাধে এক পুরোহিতকেও খুন হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সায়ন্তন বসুর সাফ কথা, 'এ রাজ্য়ে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতে রাষ্ট্রপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবে বঙ্গ বিজেপি নেতারা। শনিবার কলকাতায় গান্ধিমূর্তির পাদদেশে হবে অবস্থান বিক্ষোভও।' প্রয়োজনে নবান্ন অভিযান, এমনকী বাংলা বনধেরও ডাক দেওয়া হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বায়ন্তন।
খাট নিয়ে ক্ষুব্ধ জামাই, গুন্ডা নিয়ে বাড়ি এসে তাণ্ডব শ্বশুরের...
শুধু বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন বা সন্ত্রাসের অভিযোগই নয়, বুদ্ধিজীবীদের একাংশের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সায়ন্তন বসু। দিন কয়েক দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। সায়ন্তন বসুর বক্তব্য়, যদি নিরপেক্ষ হন, তাহলে বাংলায় কেন্দ্রীয় শাসনের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখা উচিত বুদ্ধিজীবীদের।