কেন চিকিৎসা পরিষেবা পেল না ইছাপুরের তরুণ,রাজ্যকে হলফনামার নির্দেশ হাইকোর্টের

  • ইছাপুরের তরুণের মৃত্যুতে বিচারপতির নির্দেশ
  • ময়নাতদন্ত করতে হবে তরুণের দেহের
  • দেহ দূর থেকে দেখতে পারবে পরিবার
  • কেন গাফিলতি ৬ সপ্তাহ পরে ফের মামলা শুনবে কোর্ট

Asianet News Bangla | Published : Jul 14, 2020 12:47 PM IST / Updated: Jul 14 2020, 07:52 PM IST

ইছাপুরের তরুণের মৃত্যুতে বিচারপতি দেবাংশু বাসকের নির্দেশ। ময়নাতদন্ত করতে হবে তরুণের দেহের। ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। দেহ দূর থেকে দেখতে পারবে পরিবার। তবে সরকারি ব্যবস্থায় দাহ হবে। ৬ সপ্তাহ পরে ফের মামলা শুনবে কোর্ট।

শনিবার প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়  শুভ্রজিতের। করোনা সন্দেহে ১৮ বছরের ওই তরুণকে নিয়ে তার বাবা, মা সাগরদত্ত  মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ  ৪ টি সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরলেও কেউ ভর্তি নেয়নি বলে অভিযোগ। বিভিন্ন হাসপাতাল তাদের হয়রান করে বলে দাবি তরুনের বাবা, মায়ের। শেষে বহু হয়রানির পর কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শুভ্রজিৎকে  ভর্তি নিলেও বাঁচানো  যায়নি তাকে। 

রবিবার তরুণের মৃত্যুর পর তার বাবা, মা বেলিঘড়িয়া থানায় এফআইআর করে। কেন তাদের ৪ টি হাসপাতাল ফিরিয়ে দিল, শুভ্রজিতের মৃত্যুর জন্য দায়ী কে এবং তাদের সন্তান আদৌ করোনা আক্রান্ত কিনা৷ তরুণের পরিবারের অভিযোগ, মাত্র ৫ মিনিটে হাতে লিখেই জানিয়ে দেওয়া হয় তাদের ছেলে করোনা আক্রান্ত৷ শহরের ৪ টি হাসপাতালের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলে ছেলের মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন শুভ্রজিতের বাবা, মা। ছেলের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে হাইকোর্টে নিরপেক্ষ তদন্ত  ও ময়নাতদন্তের আর্জি জানান তাঁরা। এছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে মেডিকেল রেগুলেটরি কমিশনের কাছেও ক্ষতিপূরণের আর্জি জানানো হয়েছে৷

শুভজিৎ এর বিষয়ে আজকের মামলার অন্তবর্তীকালীন আদেশ

১)শুভজিৎ এর পোস্টমর্টেম করতে হবে এবং সেটি ভিডিওগ্রাফি করতে হবে।
২)ওদের প্রথানুযায়ী শেষকৃত্য করতে হবে,সেটি কোভিড শ্মশানে  এবং বাবা-মা সেখানে থাকবেন।
শেষকৃত্যের সম্পূর্ণ ভিডিওগ্রাফি করতে হবে।
৩)এই ব্যাপারে একমাস পরে আবারও শুনানি হবে।
৪)পোস্টমর্টেম রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তীতে মামলা করা হবে।

আজ শুনানির সময় শুভজিৎ এর বাবা এবং মা দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। এদিন দুপুর ২ টোর সময় মামলাটি বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে হাইকোর্ট বন্ধ সত্ত্বেও ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিশেষ সময় ধার্য করে মামলা হলো। গতকাল চিফ জাস্টিসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে মামলাটি কেস ফাইল করা হয়। আজ মামলাটির সহকারী আইনজীবী হিসেবে থেকেছেন সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং বিক্রম বন্দ্য়োপাধ্যায়। 


 

Share this article
click me!