রোজভ্য়ালি কাণ্ডের তদন্তে এবার বন্দর বিভাগের ডেপুটি কমিশনারকে ডেকে পাঠাল সিবিআই। সূত্রের খবর, সোমবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন ওয়াকার রাজা। বহ কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এই আইপিএস অফিসারকে। দীর্ঘ সময় ধরে চলে প্রশ্ন উত্তর পর্ব।
বহু বছর কেটে গেলেও মিলছে না সমাধান। রোজভ্যালি কাণ্ডে কোম্পানির কর্ণধার গৌতম কুন্ডু জেলে থাকলেও অধরা থেকে গেছে অনেক অভিযুক্ত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোজভ্য়ালি থেকে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের এই সব নেতার বিরুদ্ধে। প্রমাণের অভাবে যারা আজও গারদের বাইরে। কিছু কিছু নেতারা জেলে গেলেও আজ তাঁরা জামিনে মুক্ত। সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন আইপিএস অফিসার ওয়াকার রাজাকে অভিযুক্ত হিসাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি সিবিআই-এর আধিকারিকরা। মূলত,সিআইডি অফিসার থাকাকালীন রোজভ্য়ালির তদন্তে তিনি কী তথ্য পেয়েছিলেন, তা জানতেই এদিন তাঁকে তলব করে সিবিআই।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের মতে, সুদ ও জরিমানা মিলিয়ে রোজভ্য়ালি কাণ্ডে ১৫ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে এই সংস্থা। ২০১৫ সালে আর্থিক প্রতারণা কাণ্ডে সংস্থার মালিক গৌতম কুন্ডুকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাত্রা দেখে চোখ কপালে ওঠে ইডির। হোটেল, রিসর্ট ছাড়াও সিনেমা,মিডিয়া ব্য়বসায় নামে রোজভ্য়ালি। নিজে রোলস রয়েস ঘোস্টে চরতেন গৌতম কুন্ডু। যার বাজারমূল্য ৪ কোটি টাকার ওপরে। সিকিউরিটি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার ছাড়পত্র না থাকা সত্ত্বেও বাজার থেকে বেশি সুদ দেওয়ার নামে টাকা তোলে রোজভ্যালি। পরে তা ফিরিয়ে দিতে অক্ষম হয় সংস্থা। ঘটনার জেরে এজেন্ট সহ গ্রাহকদের প্রতারণার মুখে পড়তে হয়। বহুবার ভাঙচুর করা হয় রোজভ্য়ালির অফিস। বার বার ডেকে পাঠানো হয় সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর তথা গৌতম কুন্ডুর স্ত্রীকে।