কখনও রাজীব কুমারকে তন্নতন্ন করে খোঁজা, কখনও অর্ণব ঘোষ বা দিলীপ হাজরাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা। সারদা কাণ্ডে সিবিআই-এর তৎপরতা ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে অনেকের। এবার সাঁড়শি আক্রমণ চালাতে চাইছে সিবিআই। শুধু সারদা নয়, নারদা কাণ্ডের জাল গোটাতেও এবার সিবিআই তৎপরতা বাড়ছে। এবার নারদা কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আরেক আইপিএস এসএমএইচ মির্জাকে তলব করল সিবিআই। তাঁকে আগামী বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডাকা হল।
ইমপেক্স কনসাল্টেন্সি নামক একটি কাল্পনিক সংস্থার নাম করে নারদা নিউজের কর্মচারীরা তৃণমূলের নেতানেত্রীদের কাছে পৌঁছেছিলেন। নারদার প্রধান দাবি করেছিলেন রাজ্যে সুষ্ঠুভাবে ব্যাবসা চালানোর জন্যে মোট ৭২ লক্ষ টাকা ঘুষ নেয় তৃণমূল নেতানেত্রীরা। তবে সবার আগে উঠে এসেছিল এই বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিক এম এইচ আহমেদ মির্জার নামও। এর সঙ্গেই ছিল তৎকালীন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়, সুলতান আহমেদ, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ফিরহাদ হাকিম-দের মতো পরিচিত নেতানেত্রীর নামও।
বলাই বাহুল্য বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে সেই টেপও তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে আঁচ লাগাতে পারেনি। ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ সিবিআই-কে কলকাতা হাইকোর্ট তদন্তের দায়িত্ব দেয়।
তবে শেষ কয়েক মাস সারদা নিয়েই ব্যস্ত ছিল সিবিআই। আরও পরিষ্কার করে বললে রাজীব কুমারকে বাগে পেতে ক্রমেই তৎপরতা বাড়িয়েছে সিবিআই। ঘাম ছুটেছে শাসক দলের। বিরোধীরা সারদা ইস্যুকে ধরে পালে হাওযা পেয়েছে ভালই। ভোটপর্ব মিটে গিয়েছে। এবার সিবিআই-এর চোখ নারদায়।
সূত্রের খবর, সরকারি পদে থাকা সত্ত্বেও নারদা কাণ্ডে কেন টাকা নিলেন মির্জা, সেই টাকা কী ভাবে খরচ করেছেন তিনি, কাদের ভাগ দিয়েছেন, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তলব করা হচ্ছে তাঁকে।
খুশির ইদ নিয়ে ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পাশেই দেখা যাচ্ছে ফিরহাদ হাকিমকে। সারদা কাঁটা তাঁর গলায় বিঁধে রয়েছে। এবার নারদাতেও সিবিআই সক্রিয়তার কথা তাঁর কানে গিয়েছে। বিরোধীরা এই ইস্যুটিকে বিধানসভায় সহজে ছেড়ে দেবে না। কী ভাবে সামাল দেবেন মমতা?