অবশেষে স্বস্তি। আগের অতিরিক্ত বিল জুনে দিতে হবে না সিইএসসি গ্রাহকদের। শীঘ্রই জুনের নতুন বিল পাঠাচ্ছে তারা। এমনই ঘোষণা করা হয়েছে সংস্থার তরফে। সিইএসসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,লকডাউনের অনাদায়ী অতিরিক্ত বিল এখন আর দিতে হচ্ছে না গ্রাহককে। কেবল জুন মাসের বিদ্যুৎ খরচের টাকাই দিতে হবে তাদের। এপ্রিল -মে মাসের অনাদায়ী অতিরিক্ত বিল জুনে দিতে হবে না।
রাজ্য়ের সাম্প্রতিক অতীত বলছে, লকডাউন থেকে আনলক হতেই বিদ্যুতের বিল দেখে মাথায় হাত পড়ে মহানগরবাসীর। সিইএসসি-র অতিরিক্ত বিল দেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ। বেগতিক দেখে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় মুখ খোলেন। সিইএসসির সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, সংশোধিত বিল না এলে কেউ বিল জমা করবেন না। গত ১৯ জুলাই সিইএসসি জানিয়ে দেয় এপ্রিল-মে মাসের অতিরিক্ত মাসুল আপাতত নিচ্ছে না তারা। এবার মন্ত্রীর সেই কথা মেনেই চলছে চলল সংস্থা।
আগে সংস্থার তরফে বলা হয়েছিল, লকডাউনের সময় গ্রাহকদের মিটার রিডিং নিতে যেতে পারেনি কর্মীরা। পরে আনলক কার্যকর হেল সেই অতিরিক্ত টাকা বিলে যোগ করে পাঠায় সংস্থা। যা থেকে তীব্র প্রতিবাদ হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, লাগামছাড়া বিল এসেছে গ্রাহকদের কাছে। যা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন গ্রাহকরা। বেগতিক দেখে বিদ্যুতের অতিরিক্ত মাসুল নিয়ে সিইএসসির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে রাজ্য় সরকার।
জানা গিয়েছে, লকডাউন পর্ব মেটার পর খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রীর ঘরেই ১১ হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল এসেছে। বাড়তি বিল নিয়ে প্রকাশ্যেই মুখ খোলেন টলিউডের একাধিক পরিচালক থেকে অভিনেতা। পরে প্রবল চাপের মধ্য়ে পিছু হটার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থা। আগে সংস্থার তরফে জানানো হয়, জুন মাসের বিলের মধ্যে এপ্রিল ও মে মাসের বিলের অংশও যুক্ত করা হয়েছে। ওই সময়ে লকডাউন চলায় মিটার রিডিং হয়নি বলে অনেকের কাছেই কম টাকার বিল গিয়েছিল।
কদিন ধরেই সিইএসসির এই বাড়তি বিল নিয়ে সরব হয়েছেন গ্রহকরা। সংস্থার অফিসে যাওয়া ছাড়াও সোশ্য়াল মিডিয়ায় এই নিয়ে জোর প্রতিবাদ শুরু হয়। কেন সিইএসসির এই আচরণে চুপ রয়েছে মমতার সরকার, তা নিয়েও প্রকাশ্য়েই প্রশ্ন তোলেন অনেকে। শেষে বেগতিক দেখে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকও করেন। এর পরে সিইএসসির এমডি (ডিস্ট্রিবিউশন) দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় গ্রাহকদের জানান, গ্রাহকেরা এখন বিলের ৫০ শতাংশ দিয়ে, পরের দু’মাসে ২৫ শতাংশ করে দিতে পারবেন। তবে তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। শেষে আপাতত বাড়তি বিলকে ঠান্ডা ঘরে পাঠাল সিইএসসি।