এবার ডেঙ্গুর জন্য করোনা মুক্ত প্রবীণ, নয়া দাবি চিকিৎসকদের

  • ডেঙ্গুর জন্য করোনাকে জয় কলকাতার দিলীপ কর্মকারের 
  • 'ডেঙ্গু রোগীর প্লেটলেটের পরিমাণ কমে ক্লটের সম্ভাবনা কমে' 
  • 'সেটা কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রে করে দিতেই পারে সুবিধা '
  • এমনটাই দাবি করেছেন, এমআর বাঙ্গুরের এক চিকিৎসক 

Asianet News Bangla | Published : Aug 9, 2020 10:07 AM IST

ডেঙ্গুর জন্য করোনাকে জয় করলেন কলকাতার বাসিন্দা দিলীপ কর্মকার। জানা গিয়েছে,  ১ আগস্ট  হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রেখেই চিকিৎসা চলছিল। তাঁর রক্তচাপের সমস্যা আছে। নিয়মিত ইউরিক অ্যাসিডের ওষুধও খান। কিন্তু ভর্তির সময় রক্তচাপ অনেক কমে গিয়েছিল। এরই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ছিল। তবে কো-মর্বিডিটিকে সঙ্গে নিয়েও দুটি রোগকেই জয় করলেন কলকাতার প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোডের বাসিন্দা দিলীপ কর্মকার।


আরও পড়ুন, দিনে ৫০০০ মানুষের যাতায়াত, আতঙ্কে পাতিপুকুর মাছ বাজারে অ্যান্টিবডি টেস্ট রাজ্যের

হাসপাতাল সূত্রে খবর, কোভিড-১৯ -এ অনেক সময় থ্রম্বোসিস হয়। লোহিত রক্তকণিকার উপর হামলা চালিয়ে সার্স-কোভ-২ এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করে যে অনুচক্রিকাগুলি জমাট বেঁধে রক্তনালিতে ক্লট তৈরি করে। এটাই কোভিডের  সবচেয়ে বড় সমস্যা। যা প্রাণঘাতীও হয়ে উঠছে বারবার। ক্লট যেখানে যায়, সেখানেই হয় সমস্য। ফুসফুসে চলে গেলে পালমোনারি এম্বোলিজম, হার্টে গেলে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন। এই সমস্যা আটকাতে কোভিড রোগীকে অনেক সময় অ্যান্টিকোয়াগুলেটরি ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু রোগীর ডেঙ্গু হওয়ায় এক্ষেত্রে তার উপায় ছিল না। কিন্তু এই সমস্যাই হিতকর হয়ে উঠেছে বছর ৫২-র দিলীপ কর্মকারের ক্ষেত্রে।  'কো-মর্বিডিটি' থাকা সত্ত্বেও ডেঙ্গুর কারণেই কোভিড জয়ী হয়েছেন তিনি।  এমনটাই অনুমান টালিগঞ্জের এমআর বাঙ্গুর  হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ারের চিকিৎসকদের। শনিবার সুস্থ হয়ে ছুটি পেয়েছেন দিলীপ কর্মকার।

আরও পড়ুন, কোভিড রোগী ভর্তিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না, নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের
 

এমআর বাঙ্গুরের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, 'ভাইরাসঘটিত রোগের বিষয়ে রোজই নতুন তথ্য উঠে আসছে। যেহেতু ডেঙ্গু ও কোভিডের কিছু উপসর্গ একে অপরের পরিপূরক, তাই সুবিধা হওয়াটা আশ্চর্যের নয়। দিলীপবাবুকে শুধু স্যালাইন আর সামান্য জ্বরের কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাতেই কাজ হয়েছে। ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে প্লেটলেটের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ক্লটের সম্ভাবনা কমে। তাই কোভিডের ক্ষেত্রে তা সুবিধা করে দিতেই পারে। তবে এতটা সরলীকরণ না করাই ভাল। অনেক গবেষণার দরকার। হয়তো, সার্স-কোভ-২-র ভাইরাল লোড কম থাকার দরুণ প্রদাহ কম হয়েছে। তবে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। কারণ, ডেঙ্গুর তুলনায় কোভিড দেহে বেশি দিন স্থায়ী হয়। ' প্রসঙ্গত জুলাই মাসের শুরুতেও দক্ষিণ কলকাতার এক প্রৌঢ় কোভিড ও ডেঙ্গুতে একই সঙ্গে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর করোনা এবং ডেঙ্গুর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে রিপোর্ট আসার আগেই প্রাণ হারিয়েছিলেন ওই প্রৌঢ়। তবে দিলীপ কর্মকারের সুস্থ হয়ে ওঠার ঘটনায় এবার অনেকখানি আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে কলকাতাবাসী।
 

 

কোভিড রোগী ভর্তিতে ৫০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না, নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যের

ভয় নেই করোনায়, মেডিক্য়ালের ৪ তলার কার্নিশে পা দোলাচ্ছে রোগী

ভুয়ো টেস্টের ফাঁদে পড়ে করোনায় মৃত্যু এক ব্য়াক্তির, গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের ৩ জন

করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা

   পূর্ব ভারতের প্রথম সরকারি প্লাজমা ব্যাঙ্ক-কলকাতা মেডিকেল, করোনা রুখতে প্রস্তুতি তুঙ্গে

  মৃত্যুর পর ২ দিন বাড়ির ফ্রিজে করোনা দেহ, অভিযোগ 'সাহায্য মেলেনি স্বাস্থ্য দফতর-পুরসভার'

Share this article
click me!