এক বছর আগে কলকাতাকে তছনছ করেছিল ঘূর্ণিঝড় আমফান
আবারও এগিয়ে আসছে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়
সাইক্লোন যশ কি আমফান হয়ে উঠবে
কোথা দিয়ে যাবে ঝড়টি, জেনে নিন যশের গতিপথ
ঠিক এক বছর আগে করোনার প্রথম তরঙ্গের মধ্যে কলকাতাকে তছনছ করে দিয়ে গিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমফান। একবছর পর পশ্চিমবঙ্গ যখন বাকি ভারতের সঙ্গে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের সঙ্গে লড়াই করছে, সেইসময়ই কপালের ভাঁজ আরও বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে আরও এক ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas)। এবারও কি একইভাবে দীর্ঘদিনে জন্য যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় কাটাতে হবে কলকাতাবাসীকে? আলিপুর আবহাওয়া দফতর অবশ্য আশার কথা শোনাচ্ছে। কান ঘেসে হলেও এবার বেঁচে যাবে কলকাতা। তবে প্রভাব অবশ্যই পড়বে উপকূলীয় জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং কিছুটা দক্ষিণ ২৪ পরগণায়।
আববহাওয়াবিদরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত ঘুর্ণিঝড় যশের যে গতিপথ, তাতে মনে করা হচ্ছে, ২৬ মে দুপুর বেলা ওড়িশার পারাদ্বীপ এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি বালেশ্বরের কাছে ল্যআন্ডফল হবে, অর্থাৎ ঘুর্ণিঝড়টি স্থলভাগে প্রবেশ করবে। তার আগে যশের সম্ভাব্য গতিবেগ থাকবে ৬০-৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। আর স্থলভাগে প্রবেশ করার সময় তার সম্ভাব্য সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। তবে সেটি হবে বালাসোর-এ, যে জায়গাটি কলকাতা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে।
ঘূর্ণিঝড় ষশের সম্ভাব্য গতিপথ
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, আমফানের ক্ষেত্রে, হলদিয়া দিয়ে স্থলে প্রবেশের পর একেবারে কলকাতা শহরের বুক চিড়ে বাংলাদেশের দিকে চলে গিয়েছিল ঘূর্ণিঝড়। এবার অবশ্য তার গতিপথ সম্পূর্ণ উল্টো। বালাসোর দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশের পর, এটি বঙ্গের উপকুলীয় জেলা পূর্ব মেদিনীপুর হয়ে সোজা ঝাড়খণ্ডের দিকে যাবে। তাই, কলকাতায় এই ঝড়ের ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হলেও ঝড়ের গতিবেদ থাকবে বড়জোর ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। তবে gusting অর্থাৎ দমকা হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। ফলে আমফানের যে ধ্বংসলীলার সাক্ষী হয়েছিল শহর কলকাতা, এবার তার তুলনায় ক্ষতি অনেক কম হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
তবে, এই সবটাই বিভিন্ন অঙ্কের মাধ্যমে তৈরি একটি সম্ভাব্য পথ মাত্র। কার্যক্ষেত্রে হঠাৎ ঘুরে যেতে পারে ঝড়ের অভিমুখ। তাই, সতর্ক থাকতেই হবে।