বাঙালি হিন্দু সমাজে দূর্গাপুজো এক অন্যতম বিশেষ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। সারা বছর ধরে অধীর আগ্রহে মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন দুর্গা পুজোর জন্য। সমস্ত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে, মা আসেন মর্তে। ঢাকের বোলে মেতে উঠেছে প্রকৃতি। সারা বছর পরিবার ছেড়ে বিদেশে থাকা মানুষটিও, এই বিশেষ সময়ে পরিবারের সঙ্গে কাটানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। 'মা' আসছে বলে কথা, এই সময়টাই তো পরিবারের সঙ্গে আনন্দে মেতে থাকারই বিশেষ উৎসব। আর এরই মধ্যে নিজেদের নতুন নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে প্যান্ডেলের কাজ শুরু করেছে দুর্গা পুজো কমিটি এবং ক্লাবগুলি। দক্ষিন কলকাতার উল্লেখ্যযোগ্য পুজোগুলির মধ্যে বালিগঞ্জ কালচারাল অ্য়াসোসিয়েশন।
এই বছর ৬৯তম বর্ষে পা দিল এই পুজো। প্রতি বছরই তারা নিত্য নতুন ভাবনা নিয়ে আসে। এবারও তারা আলোকপাত করতে চলেছে চেনা পরিচিত যুগলবন্দীর ওপর। তবে যুগলবন্দী মানে কি, সেটা নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে। যেমন ধরুন রথযাত্রা বললেই মনে আসে পাপড়, জিলিপির কথা, আবার স্বাধীনতা দিবস বললেই মনে পড়ে পতাকা ও প্যারেডের কথা। এছাড়া চায়ের সঙ্গে বিস্কুটের এক অনবদ্য যুগলবন্দী ছিল আছে এবং থাকবে। এই সমস্ত অনবদ্য চির পরিচিত সব যুগলবন্দী ধরা দেবে বালিগঞ্জ কালচারাল অ্য়াসোসিয়েশন-এ।
এই বছর তাদের প্রতিমা-র দায়িত্বে রয়েছেন ভাস্কর অরুণ পাল, ও মন্ডপ সৃজনে রয়েছেন বিমান সাহা। তাদের থিম সঙ্গীতটিও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। থিম সঙ্গীতের দায়িত্বে রয়েছেন ঋষি পান্ডা।
গত বছর তাদের থিম ছিল 'মেয়ে এসেছে উলু দে, শোলার সাজে সাজিয়ে দে'। এবারের তাদের যুগলবন্দী থিম কেমন সাড়া ফেলবে দর্শকদের মধ্যে তা জানার জন্য অবশ্যই চোখ রাখতে হবে বালিগঞ্জ কালচারাল অ্য়াসোসিয়েশন-এর পুজোতে।
ক্লাবটির ঠিকানা হল- ৫৭, যতীন দাস রোড, কলকাতা- ২৯।