স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। তাঁকে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবারই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নিয়ে নিজের মতামত জানালের রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে কী তাঁর পদে রেখে দেওয়া হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রাত্য বলেন, এর আগে এমন কোনও অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। তাঁকে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবারই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নিয়ে নিজের মতামত জানালের রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে কী তাঁর পদে রেখে দেওয়া হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রাত্য বলেন, এর আগে এমন কোনও অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শেই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার নেতাজি সুভাষ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য বসু। সেখানেই সাংবাদিকরা তাঁকে সুবীরেশ ভট্টাচার্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য জানান , সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বিষয়ে কথা বলার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ নেবে। আর সেই জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন।
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এর আগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের সঙ্গে সুবীরেশের কিছু পার্থক্য রয়েছে। কারণ তিনি এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান। কিন্তু বর্তমানে রাজ্য সরকারের একাধিক পজের অধিকারী। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য। পাশাপাশি কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ, নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি ও রাজ্যের উপাচার্য পরিষদের সম্পাদক। তাই এতগুলি পদে থাকা সুরীবেশ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কারণ আদালত ইতিমধ্যেই তাঁরে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই কর্তারা তাঁকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বাকিদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায়।
এর আগে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে যখন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তখন তার মন্ত্রিত্ব কেড়ে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর সেখানে সুবীরেশ ভট্টাচার্য সরকারের একগুচ্ছ পদে রয়েছেন।
গত ২৪ অগাস্ট সুবীরেশের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকরা। তারপরই ফ্ল্যাট সিল করে দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে তিনি উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে আসেন। ফ্ল্যাটে ঢুকতে না পেরে ছাদেই সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সূত্রের খবর পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেরায় জানিয়ে ছিলেন নিয়োগের বিষয় তিনি কিছুই জানতেন না। তিনি আর অধীনস্ত কর্মী ও আধিকারিকদের ওপরই এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নির্ভর করেছিলেন। এদিন জেরায় সুবীরেশ নাকি একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেননি। জেরায় অসঙ্গতি ধরা পড়েছে- তেমনই খবর সিবিআই সূত্রে। বর্তমানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআই হেফাজতে রয়েছে। তাই সুরীবেশকে তাঁর মুখোমুখি বসিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবে সিবিআই।