যাদবপুর বিশ্ববদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়োগ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এমনকী উপাচার্যের শিরদাঁড়া নেই বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর থেকে এসেছিল কটাক্ষ। এবার উপাচার্যের পাশে দাঁড়িয়ে পাল্টা বাবুলকে একহাত নিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
থামছে না যাদবপুর বিতর্ক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যাালয়ে মন্ত্রী হেনস্থা কাণ্ড নিয়ে চাপান উতর চলছেই। এবার বিতর্কে নতুন করে ইন্ধন জোগালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । এদিন উপাচার্যকে কটাক্ষ করার জন্য় পাল্টা বাবুলকেই খোঁচা দিলেন তৃণমূলের মহাসচিব। এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উঠে দাঁড়ানোর জন্যও তো শিরদাঁড়ার প্রয়োজন হয়। বাবুল আগে বিজ্ঞানটা জানুক। ও গান জানে বলেই সব কিছু জেনে গেছে এমনটা নয়।
সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে অসুস্থ উপাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যপাল ও শিক্ষামন্ত্রী। দেখা যায়,রাজ্য়পাল এলে বিছানায় শুয়েই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার ব্য়বধানে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এলেই সটান দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে অভিবাদন জানান উপাচার্য। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু। বিজেপির তরফে বলা হয়,পক্ষপাতিত্বের দোষে দুষ্ট উপাচার্য। একই কথা বলেন বিজেপি সাংসদ বাবুলও। এমনকী উপাচার্যের নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন করেন তিনি।
এক অনুষ্ঠানে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, অসুস্থ উপাচার্যকে রাজ্যপাল দেখতে গেলে বিছানাতেই শুয়ে ছিলেন উপাচার্য। অথচ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় যাওয়াতেই জো হুজুর করে দাঁড়িয়ে পড়েন। এই ছবিই বলে দেয় যাদবপুরের উপাচার্যের কোনও শিরদাঁড়া নেই। উনি একজন শিক্ষাবিদ হতে পারেন। কিন্তু একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হতে গেলে যে ব্য়ক্তিত্ব থাকা উচিত তা ওনার মধ্য়ে নেই। উনি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈনিত নিয়োগের বলে বলিয়ান। এই বলেই অবশ্য় থেমে থাকেননি কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী। পাল্টা বাবুল বলেন,যাদবপুরের ক্যাম্পাসেও ওনাকে আমি এই কথা বলেছিলাম। পার্থবাবু গেলে তো আপনি গেটে দাঁড়িয়ে থাকতেন ! আমার বেলায় পুলিশ ডাকবেন না জেনেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেখেও এলেন না।
এবিভিপির নবীন বরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যান আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। প্রথম থেকেই বাবুলকে বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ঢুকতে বাধা দেয় বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়ারা। অভিযোগ, গো-ব্যাক স্লোগানের মাঝে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ধাক্কা মারে ছাত্ররা। এমনকী তাঁর চুল ধরেও টানা হয়। এরপরই ক্যাম্পাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল ভবনে ফোন করেন বাবুল। পরে খোঁজ নিয়ে বিকেল ৪টে ১৫ তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে ফোন করেন রাজ্যপাল। দ্রুত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হেনস্থার রিপোর্ট চেয়ে পাঠান তিনি। ক্য়াম্পাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হেনস্থার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পরে বাবুলকে উদ্ধার করতে নিজেই ক্যাম্পাসে যান রাজ্যপাল। পরে যাদবপুরকাণ্ডে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে থানায় অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।