আমফানে বিকল ধাপার চুল্লি, রবিবারে সারিয়ে দাহকাজ শুরুর আশ্বাস কলকাতা পুরসভার

  •  করোনায় মৃত্য়ু হলে তাঁদের দাহ করা হয়  ধাপার শ্মশানে
  •  এদিকে আমফানে  বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে চুল্লি খারাপ হয়  
  • তাই বৈদ্যুতিক চুল্লিই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে প্রশাসন 
  • শনিবার দিনভর সারানোর কাজ চলেছে, রবিবার চালু হতে পারে 
     

Ritam Talukder | Published : May 31, 2020 4:57 AM IST / Updated: May 31 2020, 10:30 AM IST

করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাদের মৃত্য়ু হচ্ছে, তাদেরকে দাহ করা হয় শুধুমাত্র কলকাতায় বাইপাসের ধারে ধাপার শ্মশানে। এদিকে ওই শ্মশানের দুটি বৈদ্যুতিক চুল্লিই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে প্রশাসন। চিন্তায় পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও।  চুল্লিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় শুক্রবার থেকে বন্ধ হয়ে  গিয়েছে দাহকাজ। শনিবার দিনভর সারানোর কাজ চলেছে। পুরসভার আশ্বাস, রবিবারের মধ্যেই চুল্লি সারিয়ে দাহকাজ শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন, রবিবার থেকেই বজ্র বিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টি বাংলায়, প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা সপ্তাহ জুড়েই

পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এপ্রিল থেকে ক্রমাগত ওই শ্মশানে দাহকাজ হয়ে চলেছে। কখনও একটিতে আবার কখনও বা একসঙ্গে দুটি চুল্লিতেই দাহকাজ চলেছে। আমফানের জেরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হতেই চুল্লিতে সমস্য়া শুরু হয়। একটি চুল্লিতে সমস্যা দেখা দেওয়ায় শুধু দ্বিতীয়টি ব্যবহার করা হচ্ছিল। শুক্রবার চারটি দেহ দাহ করার পরপরেই সেটিও খারাপ হয়ে যায়। পুরসভা সূত্রের খবর, বৈদ্যুতিক চুল্লিতে ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দেহ চাপানো হয়। পরে ৮০০ থেকে ১০০০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠে। ঘূর্ণিঝড়ের পরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় তাপমাত্রা ততটা তোলা যায়নি। সেখান থেকেই তৈরি হয় সমস্যা। 

আরও পড়ুন, ঝড়ের পর সবজি চাষীদেরও শস্য বীমার আওতায় আনতে উদ্য়োগ , নয়া পদক্ষেপে রাজ্য সরকার

প্রসঙ্গত শহরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম যিনি মারা যান, তাঁর দেহকে পাঠানো হয়েছিল নিমতলায়। কিন্তু তাতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা।  এরপর পুলিশের হস্তক্ষেপে দাহকাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু পরে পুর প্রশাসন তরফে জানানো হয়, করোনায় মৃতদের দেহ ধাপার শ্মশানে দাহ করা হবে। উল্লেখ্য়,  ওই শ্মশানে বেওয়ারিশ দেহ দাহ করা হত। যেহেতু বাইপাসের ওই শ্মশান ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা থেকে অনেকটাই দূরে। তাই করোনায় মৃতদের দেহ দাহ করার সকল বিধি মেনেই চলা যায় সেখানে। কিন্তু সেখানে প্রথম দিকে  স্থানীয় লোকজন সেখানেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে অবশ্য পুলিশি সহায়তায় দাহকাজ শুরু হয়। তারপর থেকে ওখানেই শহরের করোনায় আক্রান্ত সব মৃতদেহ দাহ করা হয়। কিন্তু ঝড়ের জেরে গোটা বাংলা তছনছ। তা প্রভাব থেকে বাদ পড়েনি ধাপার এই শ্মশানও। এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ুও থেমে নেই।  পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ধাপার দুটো চুল্লিতেই এক অবস্থা। তাই পুরো বন্ধ রেখে কাজ করা হচ্ছে। শনিবার দিনভর চুল্লি দুটি সারানোর কাজ চলেছে।  রবিবার সেগুলি চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

 

রাজ্য়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ছাড়াল ৫০০০, একদিনে আক্রান্ত ৩১৭ 

 করোনা মোকাবিলায় বড়সড় উদ্য়োগ, পরিষেবা বাড়াতে ৫০০ ডাক্তার-নার্স নিচ্ছে রাজ্য

করোনা আক্রান্ত বেলেঘাটা থানার আধিকারিক সহ পরিবারের ৬ সদস্য, আইডিতে এখন চিকিৎসধীন

দেহ রাখার জায়গা না থাকায় ডিপ ফ্রিজ বসছে মেডিকেলের মর্গে, মৃতদেহ 'ম্যানেজমেন্ট'-এ নিয়োগ অ্যাসিস্ট্যান্ট

কোভিড পজিটিভ হয়ে মৃত্য়ু প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ হরিশঙ্কর বাসুদেবনের

Share this article
click me!