চলে গেলেন বিশিষ্ট লেখিকা নবনীতা দেবসেন। মৃত্যকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। চন্দ্রাবতী রামায়ণ-এর স্রষ্টা হিসাবে তাঁকে চেনে সাহিত্য জগৎ। বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ নিজের হিন্দুস্থান রোডের বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই ক্য়ান্সারে ভুগছিলেন লেখিকা। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বাড়ি থেকে বেরোনো। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাতে বাড়িতেই রাখা হবে তাঁর মরদেহ। শুক্রবার সকালে হবে শেষকৃত্য।
নিজের লেখনীর জন্য় একাধারে পেয়েছেন সাহিত্য অ্যাকাডেমি,পদ্মশ্রী ছাড়াও বহু জাতীয় পুরষ্কার। শুধু কবিতা নয় , সাহিত্যেও সাবলীল কলম ছিল তাঁর। 'প্রথম প্রত্যয়' দিয়ে যাত্রা শুরু এরপর 'আমি অনুপম'-এও ধরা দিয়েছে তাঁর লেখনীর জাদুকাঠি। রামায়ণ মহাকাব্যেকে সীতার নজরে দেখার কাজ করে গেছেন তিনি। তাঁর 'চন্দ্রাবতী রামায়ণ' সাহিত্য জগতে অন্যতম কাজ। রম্য রচনাতেও সমান পারদর্শী ছিলেন লেখিকা। আত্মজীবনীমূলক লেখা 'নটী নবনীতা'-র জন্য পেয়েছিলেন সাহিত্য অ্য়াকাডেমি পুরস্কার।
এছাড়াও ভ্রমণ কাহিনি লেখাতেও সিদ্ধহস্ত ছিলেন নবনীতা দেব সেন। ব্যক্তিগত জীবনে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। পরে অবশ্য তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। নিজে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। পড়াতে যেতেন আমেরিকার কলোরাডো কলেজের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে। এছাড়াও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্য়ালয়ে রাধাকৃষ্ণন স্মারক লেকচারার ছিলেন তিনি।
ইতিমধ্যেই তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বিশিষ্ট সাহিত্যিক নবনীতা দেব সেনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ। অগন্য ছাত্রছাত্রী ও শুভানুধ্যায়ীরা ওনার অভাব বোধ করবেন। ওনার পরিবার ও গুণমুগ্ধদের সমবেদনা জানাই।