নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে দেশে গণভোটের দাবি তুলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যপালের টুইট, 'বাইরের হস্তক্ষেপ চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেরকম অসাংবিধানিক পথে হাঁটছেন, তা দেখে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। ' তাঁর আক্ষেপ, 'আমি বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও উনি নিজের বক্তব্য় ফিরিয়ে নেননি। সাংবিধানিক পদে থেকে এক বর্ষীয়ান নেত্রী এমন মন্তব্য করতে পারেন না। এর পরিণতি গণতন্ত্রের পক্ষে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, সে বিষয়ে উদাসীন থাকতে পারেন না।'
কার্যকর করার তো প্রশ্নই নেই। বরং এ রাজ্যের নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার থেকে কলকাতা মিছিল ও সমাবেশ করছেন তিনি। প্রথম যেদিন পথে নেমেছিলেন, সেদিনই মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে মহামিছিল নিয়ে আপত্তি তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানকড়। তাঁর বক্তব্য, কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের নেতৃত্বে মিছিল হলে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাজ্যে উত্তেজনা আরও বাড়বে। এরপরই রাজ্যে শান্তিরক্ষার সহযোগিতা চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠি প্রাপ্তিস্বীকার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন জগদীপ ধনকড়। কিন্তু রাজভবনে যাননি মুখ্যমন্ত্রী। নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবিতে জারি রেখেছেন আন্দোলনও।
বৃহস্পতিবার কলকাতার রানী রাসমণি রোডে নাগরিকত্ব আইনে বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের সমাবেশ ছিল। সেই সমাবেশ থেকে মোদী সরকার রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'বুকের পাটা থাকলে গণভোট করুন। গোটা দেশে ভোট হোক। ভোট পরিচালনা করবে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। আমরাও দেখতে চাই। ' মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শুক্রবার ভোরে ফের টুইট করলেন তিনি।