তাপপ্রবাহের সঙ্গে জোট বেধেছে আদ্রতা। যার ভয়াবহ ফল ভুগতে হচ্ছে কলকাতাকে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্য়াচপ্যাচে ঘামে শরীর ভিজছে মহানগরবাসীর। যদিও আশা জাগিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আন্দামান নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। পরে তা ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপের চেহারা নিতে পারে। এর ফলে আন্দামান ও নিকোবরে বৃষ্টি হবে। তবে সমুদ্র থেকে আসা প্রচুর জ্বলীয় বাষ্প রাজ্যের দিতে পারে বৃষ্টি। মঙ্গল ও বুধবার বৃষ্টি ও ঝড়ের দাপট থাকবে দক্ষিণবঙ্গে।
মঙ্গলবার বিকেল হতেই দেখা পাওয়া যেতে পারে কালবৈশাখীর। ঝড়ের পর বৃষ্টি দিয়ে শান্তি ফিরতে পারে শহরে। সকাল থেকে দক্ষিনবঙ্গে গুমোট আবহাওয়ায় ক্লান্ত হয়ে পড়ছে শরীর। সোমবার থেকেই এই অবস্থা রয়েছে রাজ্যে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আন্দামানকে ঘিরে এটি গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন সেদিকেই নজর রেখেছে আবহবিদরা।
তাদের আশা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব পড়বে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। যার জেরে আগামী ৬ মে পর্যন্ত সেখানে বৃষ্টি হওয়ার কথা। গভীর নিম্নচাপটি আরও কিছুটা শক্তি বাড়াবে এবং তা মায়ানমারের দিকে যাবে। যা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি নিয়ে আসতে পারে। মঙ্গল বা বুধবার এই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজ্য়ের সাম্প্রতিক আবহাওয়া বলছে, মে মাসের প্রথমই ঝড়বৃষ্টিতে ভেসেছিল দক্ষিণবঙ্গের একাদিক জেলা। দফায় দফায় কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়বৃষ্টি হয়েছে মাঝ বৈশাখে। সোমবারও শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঝড়-বৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে একাধিক জেলাগুলিতে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। এবার মঙ্গলবার বিকেলেই জলীয় বাষ্প ঘণীভূত হয়ে বৃষ্টি হতে পারে মহানগরে।