লকডাউনে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
লাল জোনকে ৩টি ভাগে ভাগ
আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে
রাজ্যের কোনও কথাই শুনছে না কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এই নিয়ে রীতিমত উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সোমবারের সেই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন লকডাউন কোথায় কতটা কার্যকর করা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। আর মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সেই রকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মনতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন আপাতত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। এই অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আগামী তিন মাসের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য প্রশাসন। সেইমত লাল জোন চিহ্নিত এলাকা গুলিকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। 'এ' 'বি' 'সি' হিসেবে এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে এলাকাভিত্তিক কিছু কিছু ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ চিনা বংশোদ্ভূত সাংবাদিকের সঙ্গে তুমুল তরজা, আচমকা সাংবাদিক সম্মেলন শেষ করলেন ট্রাম
আরও পড়ুনঃ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেনের কামরা কতটা নিরাপদ, করোনার সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেবে না তো ...
বর্তমানে সবুজ ও কমলা জোনে লকডাউনের নিময় শিথিল করা হলেও লাল জোনে কোনও রকম ছাড় দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে লাল জোনেও আর্থিক কাজকর্ম শুরু করেতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে লাল জোনের 'এ' চিহ্নিত একালায় এখনই কোনও রকম ছাড় দেওয়া হবে না বলেই সূত্রের খবর। কিন্তু 'বি' ও 'সি' একালায় ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। 'বি' চিহ্নিত এলাকায় নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই ছাড় দেওয়া হবে। 'সি' চিহ্নিত এলারায় প্রায় সব ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলছে প্রশাসন। গ্রামীণ এলাকায় অর্থনীতি চাঙ্গা করতে জেলা শাসকসহ প্রশাসনিক আর্ধিকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী আবারও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ করেন। তিনি এখনও পর্যন্ত এই রাজ্য কোনও আর্থিক সুবিধে পায়নি। গত ২ মাস কোনও রাজস্ব আদায় হয়নি। এই অবস্থায় রাজ্যের প্রাপ্য বয়েকা মিটিয়ে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।