ভারতের প্রথম আন্ডার ওয়াটার মেট্রো টানেল কলকাতায়, ২০২৩-র মধ্যে জলের নীচ দিয়ে পরিষেবা শুরু

ভারতের প্রথম আন্ডার ওয়াটার মেট্রো টানেল ২০২৩ এর মধ্যে তৈরি হতে চলেছে কলকাতায়। প্রায় ১৬.৬ কিমি দীর্ঘ রাস্তা অতিক্রম করে কলকাতা ও হাওড়ার মাঝে হুগলি নদীর তলা দিয়ে সংযোগ স্থাপন করবে। 

ভারতের প্রথম আন্ডার ওয়াটার মেট্রো টানেল ২০২৩ এর মধ্যে তৈরি হতে চলেছে কলকাতায়। প্রায় ১৬.৬ কিমি দীর্ঘ রাস্তা অতিক্রম করে কলকাতা ও হাওড়ার মাঝে হুগলি নদীর তলা দিয়ে সংযোগ স্থাপন করবে। এই টানেলটি নদীর ৩৩ মিটার গভীরে গিয়ে রয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো এবার জুড়তে চলেছে কলকাতা-হাওড়াকে।এবং সবচেয়ে অবাক করা বিষয়টি হল এই ভারতের প্রথম আন্ডার ওয়াটার মেট্রো টানেল। জানা গিয়েছে ২০২৩ এর মধ্যে এর কাজ সম্পন্ন হবে।

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রান্তিক স্টেশন হাওড়া মেট্রো স্টেশনের কাজ শেষ পর্যায়ে চলছে। হাওড়া স্টেশনের মধ্যে এই স্টেশনের দৈর্ঘ্য ১১০ মিটার, চওড়া ৬৫ মিটার এবং গভীরতা ৩৩ মিটার। এটাই এশিয়ার গভীরতম মেট্রো স্টেশন হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। এই স্টেশন থেকে  দুটি টানেল রচনা এবং প্রেরণা গঙ্গার তলা দিয়ে বড় বাজার এলাকায় উঠেছে। সাইট সুপারভাইজার সুনীল ঘোষ বলেছেন, জরুরী পরিস্থিতিতে যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ওই টানেলে হেটে যাওয়ার রাস্তাও থাকবে। ওই ওয়াটার টানেল এলাকার ভিতরে আচমকা যদি কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়, সেই কথাটা মাথায় রেখেই ওই গুরুত্বপূর্ণ প্যাসেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্টের হাওড়া স্টেশনে এখন অবধি ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ২০২৩ এর মধ্য়েই ভারতের প্রথম আন্ডার ওয়াটার মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে।

Latest Videos

আরও পড়ন, ঝালদায় তপন কান্দু খুনে তদন্ত শুরু করল সিবিআই, গভীর রাত অবধি কেস ডায়েরি নিয়ে আলোচনা

সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার তুষার আচার্য্য জানিয়েছেন, গঙ্গায় নিচ দিয়ে যাওয়া দুটি টানেলের প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য প্রায়  ৫৫০ মিটার। এই দুটি টানেলের কাজ টানেল বোরিং মেশিন দিয়ে ২০১৬ সালে শুরু হয়। ২০১৯ সালে এই কাজ শেষ হয়। এরপর স্টেশন তৈরীর কাজে হাত দেয় কেএমআরসিএল। স্টেশনের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে।  যাত্রীসংখ্যার কথা বিবেচনা করে হাওড়া মেট্রো স্টেশনে চারটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। ট্রেন প্লাটফর্মৈ ঢুকলে দু দিক দিয়েই যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন।

মেট্রো স্টেশনে আত্মহত্যার রুখতে প্লাটফর্ম স্ক্রীনিং ডোর বসানো হয়েছে। ট্রেন স্টেশনে ঢোকার পর তবেই এই স্লাইডিং ডোর খুলবে। তখনই যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন। পুরোটাই সেন্সর সিস্টেমের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যাত্রীরা ৩৩ টি এস্কেলেটর এবং সাতটি লিফট দিয়ে ওঠানামা করতে পারবেন। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ১২ টি ফায়ার এক্সিট পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও ২০০ টি সিড়ি দিয়ে ওঠানামা করা যাবে। স্টেশনের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে মেট্রো রেক দিয়ে ট্রায়াল রান শুরু হবে। ট্রায়াল রান সফল হলে ২০২৩ সাল থেকেই চালু হতে পারে কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে সংযোগকারী মেট্রো পরিষেবা।

Share this article
click me!

Latest Videos

'ওটা আমার জায়গা, ওকে আবার হারাব' তাপসীকে চরম বার্তা শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari on Tapasi Mondal
‘ওঁরা তো প্রকাশ্যে বলেছে Holi পালন করা যাবে না’ Mamata Banerjee-র সরকারকে আক্রমণ Suvendu Adhikari-র
'আপনি হিন্দু বিরোধী নিজেই প্রমাণ করেছেন, হিন্দুরাই তাড়াবে আপনাকে' হুঁশিয়ারি Suvendu Adhikari'র
Suvendu Adhikari: ‘নন্দীগ্রাম না হলে Mamata Banerjee জীবনেও মুখ্যমন্ত্রী হতেন না, ওঁকে চেনে কে!’
'পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বেইমান মমতা' বিস্ফোরক শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | Mamata Banerjee |