যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে নিগ্রহ! দোষী ছাত্রকে গণপিটুনি থেকে বাঁচালেন তিনিই

swaralipi dasgupta |  
Published : Jul 27, 2019, 03:24 PM IST
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে নিগ্রহ! দোষী ছাত্রকে গণপিটুনি থেকে বাঁচালেন তিনিই

সংক্ষিপ্ত

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে নিগ্রহ করে গ্রেফতার প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ সাঁতরা শুক্রবার বাংলা বিভাগের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন তখনই তাঁর উপর চড়াও হয় ওই ছাত্র। চোট পান অধ্যাপক আবদুল কাফি  বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে উদ্ধার করেন

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল কাফিকে নিগ্রহ করে গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ সাঁতরা। শুক্রবার বাংলা বিভাগের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। তখনই তাঁর উপর চড়াও হয় ওই ছাত্র। চোট পান অধ্যাপক আবদুল কাফি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। 

২০১৫ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস আউট ছাত্র রাজেশকে ইতিমধ্য়েই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অধ্যাপকের উপরে নিগ্রহ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা রাজেশের উপর চড়াও হতে আসে। তখন সেই গণপিটুনির হাত থেকে অধ্যাপক আবদুল কাফিই তার প্রাক্ত ছাত্রকে বাঁচান। তার পরে তাকে অরবিন্দ ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। 

আবদুল কাফি নিজেই একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ওই প্রাক্ত ছাত্র বিগত বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর ব্যাপারে অন্যদের কাছে খোঁজ খবর করছেন। তাঁকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে হুমকিও দিয়েছেন। এমনকী গত, ২০ জুলাই অধ্যাপকের বাড়িতে গিয়েও তারঁ উপরে হামলা করার চেষ্টা করে রাজেশ সাঁতরা। অবশেষে ২৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনের চায়ের দোকানে তাঁর উপরে চড়াও হয় সেই ছাত্র। 

এই ঘটনায় বিভিন্ন মহল থেকে রাজনৈতিক রং লাগানো হলেও, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্য়াপক বলছেন, "সন্ধ্যের পরে বিপর্যস্ত হয়ে বাড়ি ফিরে শুনি ফেসবুকে এই ঘটনার নানা “কারণ” অনুমান করা শুরু হয়েছে। ছেলেটির সঙ্গে কোনও কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের যোগাযোগ নিয়ে কথা বলা হয়েছে। আমি তেমন কোনও “যোগ” বিষয়ে কোথাও কিছু বলিনি, কোনও প্রমাণ বা তথ্যও আমার কাছে নেই। আপনাদের সকলের কাছে আবেদন কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই এমন কথা বাতাসে ভাসিয়ে দেবেন না দয়া করে। তাতে ছেলেটির ক্ষতি হয়ে যেতে পারে অকারণে। আমার তা উদ্দেশ্য নয়। সে নিশ্চয় কোনও ভুল ধারণায় আক্রান্ত। হয়তো কেউ ওকে ব্যবহার করছে, হয়তো ও অসুস্থ। আমি ওর সঙ্গে কথা বলতে চাই, ওর অস্থিরতার কারণ জানতে চাই। ও যদি অসুস্থ হয়ে থাকে তাহলে ওর নিরাময় চাই। আমি বামপন্থী রাজনীতির সমর্থক, আমার উপরের তিনপুরুষ মাষ্টারি করে এসেছেন। আমি আর কী চাইতে পারি বলুন?"

 

 

এছাড়াও তিনি বলেন, "আজ বেশি রাতে ছেলেটির বাবা কোথাও থেকে আমার ফোন নম্বর জোগাড় করে ফোন করেছিলেন আমাকে। তিনিও স্তম্ভিত। খুবই দুঃখ প্রকাশ করলেন। ছেলের আচরণে বিড়ম্বিত। আমি তাঁকেও বলেছি ছাত্রের (প্রাক্তন) ক্ষতি চাই না। প্রশাসনিক ভাবে আইনি পদ্ধতি যা হচ্ছে তাতে আমি আগ বাড়িয়ে কোনও ভূমিকা নেব না। ছেলেটি নিশ্চয় ভুল স্বীকার করে নেবে, সে নিশ্চয় সুস্থভাবে ভেবে দেখবে কী সে করেছে আসলে—এইটেই প্রত্যাশা।" 

PREV
click me!

Recommended Stories

স্বামী প্রান্তিককে সঙ্গে নিয়ে 'ফুল' বদল রাজন্যার! ভোটের আগে কোথায় যাচ্ছেন তৃণমূলের বহিস্কৃত নেত্রী?
Today Live News: ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতের ব্যাটিং শুরু, সপ্তাহান্তে পারা পতনে কাঁপবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ