রাজ্য়ে করোনা আবহে রাজভবনে ভিড় জমিয়ে হতে পারে চা-চক্র। ইতিমধ্য়েই প্রায় ৮০ জনের কাছে পৌঁছে গিয়েছে নিমন্ত্রণ। স্বাধীনতা দিবসে রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়ের এই চা-চক্র নিয়ে প্রশাসনিক ও চিকিৎসক মহলে উঠেছে প্রশ্ন। কোভিড পরিস্থিতিতে রাজভবনে এ-রকম অনুষ্ঠান না করার পক্ষপাতী অনেকেই।
করোনা নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্য়েই রেড রোডে প্রায় অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান সারলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৬ মিনিটের অনুষ্ঠানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি ও পুলিশ মেমোরিয়াল ফলকে মাল্যদান করেন মমতা। পরে কোভিড যোদ্ধাদের সম্মান জানানো হয়। ২৫ জন কোভিড যোদ্ধাদের হাতে স্মারক সম্মান তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষে কিছু বক্তব্য় না রেখেই চলে যান তিনি। আগে থেকেই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান সংক্ষেপে করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেই কথাই রাখেন তিনি।
অন্যদিকে রাজভবন সূত্রে খবর, প্রায় ৮০ জন রাজ্য়পালের অতিথি আসবেন আজ চা-চক্রে। যাদের সঙ্গে রাজভবেন জমা হবে তাদের গাড়ির চালক সহ সহযোগীরা। তাই সব মিলিয়ে সংখ্যটা প্রায় ১০০-র কাছাকাছি চলে যেতে পারে। ইতিমধ্য়েই রাজ্য় সরকারি অনেক আমলাই সেখানে যাবেন না বলে শোনা গিয়েছে। তিনি যে নিজে রাজভবেনে বিকেল আসতে পারছেন না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। সেকারণে সকালেই রাজ্য়পালের সঙ্গে রাজভবনে দেখা করতে আসেন তিনি। রাজভবনের গেটে দাঁড়িয়ে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, রাজ্য়পালের সঙ্গে অনেক আড্ডা মেরে গেলাম। বিকেলে আসতে পারব না, তাই সকালেই চলে এলাম।
জানা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান সম্পর্কে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত রাজভবনে কত লোক আসবেন তার বিস্তারিত তথ্য় পাঠানো হয়নি। তাই কতজন ঠিক আসছেন তা জানেন না খোদ রাজ্য় সরকারি আমলারাই। তবে চিকিৎসকদের মতে, বন্ধ ঘরে এই সময় এত লোকের অনুষ্ঠান না করাই কাম্য। এমনিতেই রাজ্য়ে কিছু কিছু জায়গায় যে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন। এমত অবস্থায় রাজ্য়পালের এই অনুষ্ঠান কতটা যুক্তিযু্ক্ত তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।