লক্ষ্মীপুজোর দিনে বিজেপিকে খোঁচা দিতে ধনদেবীর ওপরই আস্থা রাখলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন হাবরা স্টেশন লাগোয়া ভেন্ডার সমিতির লক্ষ্মীপুজোয় তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার কর্ণধার বলেন, ভারতবর্ষের লক্ষ্মী ভান্ডার অত্যন্ত দুর্বিষহ অবস্থায় রয়েছে। গত ৭২ বছরে যা হয়নি মোদি জমানায় সেই করুণ অবস্থা হয়েছে। বিভিন্ন পাবলিক সেক্টর এখন প্রাইভেট কোম্পানিকে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে । এমনও হয়তো দিন আসবে,যখন সকালে উঠে দেখব ভারতবর্ষ গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া থেকে প্রাইভেট লিমিটেড হয়ে গেছে।
তবে খাদ্যমন্ত্রীর এই আশঙ্কা যে অমূলক নয় প্রকাশ্য়েই তা বলে চলেছেন মোদি সমালোচকরা। দেশের অর্থনীতির পরিসংখ্যান বলছে,ভালো অবস্থায় নেই দেশ। মোদি জমানায় দেশের জিডিপি তলানিতে এসে ঠেকেছে। ২০১৯ সালে গাড়ি বিক্রি কমেই চলেছে দেশে। যার জেরে দেশের সর্বাধিক গাড়ি বিক্রিকারী সংস্থা মারুতি সুজুকিকেও কর্মী ছাটাইয়ের নির্দেশ দিতে হয়েছে। দেশের আর্থিক অবস্থার জেরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে সরাসরি রাজকোষে টাকা নিতে হচ্ছে অর্থমন্ত্রককে। এখানেই শেষ নয়, দেশের অর্থনৈতিক হাল বয়ান করতে প্রকাশ্যেই বিবৃতি দিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন।
বিশ্বব্যাঙ্কের দেওয়া সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও বলছে এক কথা। বিশ্ব ব্যাঙ্কের দাবি, ২০১৯-২০ সালে ভারতের উৎপাদন বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াবে ৬ শতাংশে। আগে ২০১৮-১৯ সালে যা ছিল ৬.৮শতাংশ। অর্থাৎ মোদীর ৫ ট্রিলিয়ান অর্থনীতির স্বপ্ন এখন বিশ বাঁও জলে। তবে বিশ্বব্যাঙ্কের আশা, শীঘ্রই এই অবস্থা কাটিয়ে উঠবে ভারত। ২০২০-২০২১ সালে দেশের উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৬.৯শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।