১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে খুলছে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেই সঙ্গে মঙ্গলবার থেকে শুরু হল দুয়ারে সরকার প্রকল্প। পুরনিগম এলাকার শিক্ষক-শিক্ষিকারা একসঙ্গে কীভাবে দুদিক সামলাবেন সেই নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ।
অতিমারি করোনা পরিস্থিতির জেরে একপ্রকার থমকে ছিল শিক্ষাব্যবস্থা। অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমেই চলছিল পড়াশুনা। কিছুদিন আগেই রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যের স্কুল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্লাসের ছাত্রছাত্রদের জন্যই স্কুল খোলা হয়েছিল। তবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার (Wednesday) থেকে খুলে যাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরজাও (Primary and Upper Primary Schools)। সিদ্ধন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। একটানা দীর্ঘ দুই বছর পর শিক্ষাঙ্গনে ফেরার সুযোগ পাবে ছোট ছোট পড়ুয়ারা। স্কুলের পরিবেশে পুরনো ছন্দে ফের স্কুলজীবনকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে এখন ক্ষুদ্র পড়ুয়ারা (Students)। তবে কলকাতা পুরনিগম (Kolkata Municipal Corporation) এলাকার অন্তর্গত স্কুলগুলি চালু করা ঘিরে এক জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, একধারে ১৬ ফেব্রুয়ারি (16th February, Wednesday) থেকে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সঙ্গে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কলকাতার ক্ষেত্রে পুরনিগমের স্কুলগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (School Teachers) এই দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পুরনিগমের প্রাইস অফ চুক্তিভিত্তিক এবং স্থায়ী শিক্ষক শিক্ষিকা (School Teachers) গতবার থেকে এই কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। তাঁরা কীভাবে দুদিক সামলাবেন।
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরনিগমে বর্তমানে তৈরি হয়েছে কর্মী সংকট। সেই কারনে অন্য কোনও কর্মীকে পুরনিগমের বিভিন্ন বিভাগগুলি থেকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করতে পারেনি প্রশাসন। এদিকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যুক্ত করা হয় এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য। সব মিলিয়ে দুই টানাপোড়নে চিন্তার ভাঁজ পুরনিগমের অন্তর্গত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে আরও একটি প্রশ্ন দানা বাঁধছে যে, বিদ্যালয় খোলার পর সেখানে পর্যাপ্ত শিক্ষক পাওয়া যাবে কিনা, পঠন পাঠন চালাতে কোনও অসুবিধা হবে কিনা। সুত্রের খবর অনুযায়ী, এই বিষয় কোনও রকম সদুত্তর দিতে পারে নি পুরনিগমের কর্তাব্যক্তিরাও। সব মিলিয়ে দুয়ারে সরকার এবং প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক চালুর সিদ্ধান্তের মাঝে চাপে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
আরও পড়ুন-স্কুলে হিজাব পরা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি রাজ্যে, কি সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন
আরও পড়ুন-বাতিল একাধিক ট্রেন, বদলেছে কয়েকটির যাত্রাপথও, দেখে নিন পুরো তালিকা
আরও পড়ুন-২ বছর পর অবশেষে খুলছে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়, জানাল নবান্ন
সোমবারই রাজ্যের তরফে করোনাবিধি নিয়ে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে নবান্নের তরফে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার পরই সেই গাইডলাইন কার্যকরী করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। স্কুলগুলিতে কী কী নিয়মবিধি মানতে হবে, কীভাবে ক্লাস চলবে, সেই সংক্রান্ত একটি পৃথক গাইডলাইন অবশ্য প্রকাশ করবে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর।