রাজ্যপালের নিরাপত্তায় জেড প্লাস শ্রেণিতে নেই। সেই কারণেই তাঁকে নিরাপত্তারক্ষী বুথের বাইরে রেখেই ভোট দিতে হয়েছে। আমাদের রাজ্যে বর্তমানে অভিষেক ও মমতারই শুধুমাত্র এই উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে।
পুরভোটের আবহে সকাল থেকেই সরগরম কলকাতার রাজনীতি। কোথাও দেদার ছাপ্পা তো কোথাও বিরোধী এজেন্টকে বাধা, তো কোথাও আবার পুলিশের সামনেই বোমাবাজির অভিযোগ। সব মিলিয়ে কলকাতার পুরযুদ্ধের(KMC election) আগুনে উত্তাপে ফুটছে গোটা রাজ্যই। এদিকে এরই মধ্যে সস্ত্রীক ভোট দিয়ে এলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়(Jagdeep Dhankhar)। রবিবার সকাল ১১টার পর রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি যান আয়কর ভবন৷ সেখানে সস্ত্রীক ভোট (KMC Election 2021) দেন রাজ্যপাল৷ তবে ভোট দিয়েও উষ্কে দিলেন বিতর্ক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (MP Abhisekh Banerjee) ছাড়া বুথের ভিতর অন্য কাউকে নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে যাওয়ায় নিষধাজ্ঞা চাপিয়েছে নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)৷ এবার তা নিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গেল রাজ্যপালকে।
এদিকে এদিন ভোট দিয়ে বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জগদীপ ধনখড় বলেন, “আমি কমিশনের নির্দেশ মেনেছি৷ বুথের ভিতর নিরাপত্তা কর্মীদের যেতে বারণ করেছি৷” তবে বাইট দিতে গিয়ে নিজের ক্ষোভ দূরে রাখেননি ধনকড়। কমিশনের নির্দেশ নিয়েও তোপ দাগেন তিনি। এমনকী কেন মমতা-অভিষেককে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় তাঁকে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বাংলার সরকারের যোগসাজস রয়েছে বলেও আকারে ইঙ্গিতে অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যে বিস্তর চাপানউতর শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যপালের নিরাপত্তায় জেড প্লাস শ্রেণিতে নেই। সেই কারণেই তাঁকে নিরাপত্তারক্ষী বুথের বাইরে রেখেই ভোট দিতে হয়েছে। আমাদের রাজ্যে বর্তমানে অভিষেক ও মমতারই এই উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে।
এদিকে সকাল পুরভোটের আবহে এদিন সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় শাসক-বিরোধী তুমুল সংঘর্ষ দেখতে পাওয়া যায়। ধরছে রক্তও। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন রাজ্যপাল বলেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ ভীষণ ভাবে দরকারি। ভোটারদের মনে যাতে কোনওরকম ভয়ের সঞ্চার না হয় তা দেখা জরুরি৷ আর ঠিক এই জন্যই আমি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে দু’বার ডেকে পাঠিয়েছিলাম৷ ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, ভোটপর্ব যাতে শান্তিতে হয় সে জন্য তাঁকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম৷ কিন্তু ভোটারদের মন থেকে এখনও ভয় দূর করা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে সুপ্রশাসনের অভাবই মানুষের মনে ভয়ের সঞ্চার করেছে।” এছাড়াও শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে ভোট নিয়ে ওটা একাধিক অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তার অনেক প্রশ্নই এড়িয়ে যান ধনখড়। ভোট চলাকালীন এই বিষয়ে তিনি আর কিছু বলবেন না জানিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় তাঁকে।