কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক হল কলকাতা পুরসভায়। শহর কলকাতায় একের পর এক অমানবিক ঘটনা ঘটছে, যেখানে মৃত্যুর পর মৃতদেহ পড়ে থেকেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই কারণেই এই বিশেষ বৈঠক। ১৪৪টি ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর এবং ১৬টি বোরোর কো-অর্ডিনেটর নিয়ে এই বৈঠক হয়।
এদিন কলকাতা পুরসভার সমস্ত ওয়ার্ড কো-ওয়ার্ডিনেটর এবং বোরো কো-অর্ডিনেটরদের নিয়ে বৈঠক হয় পুরসভায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার পুর কমিশনার, কলকাতা পুলিশ কমিশনার, স্পেশাল পুলিশ কমিশনার এবং হেডকোয়ার্টার ছাড়াও কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক প্রধান ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই বৈঠক হয়েছে।
কোনও ওয়ার্ডে যাতে মানুষ মারা যাওয়ার পরে সেটা সম্পূর্ণরূপে গোপন না থাকে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বৈঠকে। সমস্যা হলে সরাসরি স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জকে জানাতে হবে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। চিকিৎসকের সার্টিফিকেট নিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হলে সরাসরি অতীন ঘোষ ও ফিরহাদ হাকিমের সাথে যোগাযোগ করা যাবে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কী কারণে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন সেটা সকলের আগে জানার প্রয়োজন। সেই কারণেই কলকাতা পুরসভা এলাকায় যে সমস্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো রয়েছে সেখানে সেই মৃত ব্যক্তির দেহ নিয়ে যাওয়া হবে। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই সেটা সৎকারের ব্যবস্থা করা হবে। সেই কারণে কলকাতার ১৪৪টা ওয়ার্ডে পাড়ায় পাড়ায় মনিটরিং টিম তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কো-অর্ডিনেটর এবং বোরোদের ।