চিনা মাঞ্জায় গুরুতর আহত হচ্ছিলেন একের পর এক বাইকার। বার বার সচেতন করেও লাভ হচ্ছে না এলাকায়। শেষে চিনা মাঞ্জার হাত থেকে রেহাই দিতে মা উড়ালপুলে নতুন উদ্য়োগ নিচ্ছে কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভলপমেন্ট অথরিটি(কেএমডিএ)।
ঘুরির সুতোতেই তৈরি হচ্ছে প্রাণঘাতী আশঙ্কা। বহুবার মা উড়ালপুলে এই সুতোতেই গলার নলি কাটার উপক্রম হয়েছে বাইক আরোহীদের। কোনও কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না এই দুর্ঘটনা। বাধ্য হয়ে এবার বাইকার বাঁচাতে বিকল্প উদ্য়োগ নিয়েছে কেএমডিএ। সূ্ত্রের খবর, শীঘ্রই দক্ষিণশ্বরের স্কাইওয়াকের মতো উড়ালপুল ঘিরে দেওয়ার কথা ভাবছে কেএমডিএ। ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। কেএমডিএ-র এক আধিকারিকের কথায় প্রথমে যেকোনও ধাতুর চাল ও বেড়ার কথাই ভেবেছিল সংস্থা। কিন্তু এখন নতুন করে পলিকার্বোনেটের সিট দিয়ে সেতু ঘেরার কথা ভাবছে সংস্থা।
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াকের আদলে মা উড়ালপুলে এই চাঁদোয়া দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে। ধাতুর তৈরি বেড়ার থেকে পলিকার্বোনেটের সিটের দাম বেশি হলেও সেই দিকেই ঝুঁকতে পারে কেএমডিএ। এর পিছনে বেশ কিছু যুক্তি রয়েছে। প্রথমত ধাতুর তৈরি সেতুর বেড়ায় দ্রুত জং ধরার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু পলিকার্বোনেট জল প্রতিরোধক হওয়ায় এতে জং ধরে না। লোহা বা অন্য় ধাতুর থেকে এই ধাব পাত অনেক হাল্কা। তাই সেতুর ওপর ওজন পড়ার ক্ষেত্রেও সুবিধাজন্ক। এখানেই শেষ নয়। রং করে এর জং প্রতিরোধ করতে হয় না বলে এই রক্ষণাবেক্ষণের খরচও নেই বললেই চলে।
বহুদিন ধরেই এলাকাবাসীদের অভিযোগ, উড়ালপুর চালু হওয়ার পর থেকে যানবাহনের আওয়াজে তাঁদের জীবন অতীষ্ট হয়ে উঠেছে। উড়ালপুরের ওপর পলিকার্বোনেটের চাঁদোয়া দেওয়া হলে সেতুর আওয়াজ থেকেো মুক্তি পাবে এলাকাবাসী। কেএমডিএ-র এক আধিকারিকের কথায়, মূলত মা উড়ালপুলের দক্ষিণের শাখা নিয়েই বেশি চিন্তিত কেএমডিএ। পার্ক সার্কাস উড়ালপুরের এই চার নম্বর সেতুতেই বেশি চিনা মাঞ্জায় গলা কাটার ঘটনা ঘটেছে। যার ফল ভুগতে হয়েছে বহু বাইকারকে। কিন্তু বার বার বলেও চিনা মাঞ্জা ছাড়ানো যায়নি এলাকার বাসিন্দাদের।