২০১২ সালে শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার পেয়েছিলেন ছ’জন বাঙালি বিজ্ঞানী। ঠিক তার সাত বছর পর ফের ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি’। এবছর বিজ্ঞান গবেষণায় দেশের সর্বোচ্চ সম্মন ভাটনগর পুরস্কার পেতে চলেছেন ছয় তরুণ বিজ্ঞানী। এদের মধ্যে অবশ্য কলকাতায় গবেষণারত একজনই, নীনা গুপ্ত। পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় নাম থাকা ১২ জন বিজ্ঞানীর মধ্যে নীনাই একমাত্র মহিলা বিজ্ঞানী। গণিতে তার গবেষণার জন্যই এই সম্মান প্রদান করছে ভারত সরকার। বর্তমানে বরাহনগর ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের (আইএসআই) রাশিতত্ত্ব ও গণিতিক বিভাগে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের পদে রয়েছেন তিনি।
৩৫ বছরের নীনাই ভাটনগর পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় সবচেয়ে কনিষ্ঠ। এরআগে ১৯৭৭ সালে টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের (টিআইএফআর) এ এস রঘুনাথন ৩৬ বছর বয়সে পেয়েছিলেন বিজ্ঞান গবেষণায় দেশের সর্বোচ্চ সম্মন ভাটনগর পুরস্কার।
অঙ্কের প্রতি ছোটবেলা থেকেই ভালবাসা নীনার। তবে ভাটনগর পুরস্কার প্রাপ্তি তাঁর কাছে স্বপ্নের মত, জানাচ্ছেন বেথুন কলেজের এই প্রাক্তনী। নিজের কৃতীত্বের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মা জ্ঞানলতাদেবীকে। মাধ্যমিক পর্যন্ত কোনও প্রাইভেট টিউটর নয়, মায়ের কাছেই পড়াশোনা করতেন নীনা।
নীনাই মহিলাদের মধ্যে তৃতীয় যিনি ভাটনগর পুরস্কার জিতলেন। এর আগে ১৯৮৭ সালে আর পরিমালা এবং ২০০৪ সালে আর সুজাতা এই সম্মান পান। ইতিমধ্যে ‘জারিস্কি ক্যানসেলেশন প্রবলেম’-এর সমাধান বাতলে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন নীনা । রুশ গণিতজ্ঞ অস্কার জারিস্কির নামাঙ্কিত এই গাণিতিক সমস্যা সাত দশক ধরে অমীমাংসিত ছিল। দেশের নতুন প্রজন্মের গণিতজ্ঞদের মধ্যে অগ্রগণ্য নীনাদেবী পেয়েছেন রামানুজন পুরস্কারও।