হাজার সচেতনমূলক প্রচারেও কাজ হল হল না। কলকাতার বুকেই লকটাউন না মেনে ঘুরে বেড়াল বেপরোয়া লোকজন। শেষমেশ কঠোর হতে হল কলকাতা পুলিশকে। লকডাউন না মানায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২৫৫জনকে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধরা প্রয়োগ করা হয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।
সোমবার বিকেল ৫ টা থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। টুইটে ঘরে থাকার বার্তা দেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা । টুইট করে তিনি লেখেন,অনুগ্রহ করে করোনা-সংক্রান্ত সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। নিতান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বেরোবেন না। সরকারি বিধি লঙ্ঘন আইনত দণ্ডনীয়। আপৎকালীন প্রয়োজনে ১০০ ডায়াল করুন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। অবাধ্য় কলকাতাকে বাগে আনতে পারেনি কলকাতা পুলিশ। শেষে বলপূর্বক সবাইকে লকডাউন বোঝাতে শুরু করে কলকাতা পুলিশ।
শহরের বেশিরভাগ জায়গা থেকে বাইকার ছাড়াও চারচাকার গাড়িওয়ালাদের ফাইন ছাড়াও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শ্যামবাজারে দেখা গিয়েছে, মাইকিং করা সত্ত্বেও লকডাউনের পর দোকান খোলা রেখেছেন অনেক ব্যবসায়ী। শেষে পুলিশ দেকানের ভিতর ঢুকে তা বন্ধ করে। এরই মধ্যে বিকেলের দিকে কলকাতার ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে জন হিত প্রকল্পে করোনা সচেতনতা শিবির করেন কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা। জনগণকে সচেতন করতে তাদেরকে সাবান বিলি করা হয়। যার জেরে ভিড় জমে যায় এলাকায়। কীভাবে হাত ধুতে হবে তাও দেখিয়ে দেন বিজেপির নেতারা।
শুধু শহরেই নয়, পুলিশের অভিযান চলে জেলায় জেলায়। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার কটারি গ্রামে কালী পূজা উপলক্ষে ডিজে বাজিয়ে চলে উদ্দাম নাচ। বারইপুর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসুর নেতৃত্বে বারইপুর কাছারি বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় টহল দেন পুলিশ আধিকারিকরা। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দোকান ছাড়া যেসব দোকান ছিল সেগুলো বন্ধে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। অযথা বাড়ি থেকে বেড়োবেন না এবং কোথাও জমায়েত না করার পরামর্শ দেওয়া হয় হাবড়া থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ যশোর রোডে গাড়ি চালক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার তুলে দেওয়া হয় ।