ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে গেছেনতো অনেক বারই কিন্তু ভিক্টোরিয়া সম্পর্কে এই তথ্য গুলোকি জানেন, দেখুনতো! কলকাতার স্থাপত্য গুলির মধ্যে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল অন্যতম। সম্পূর্ণ সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে লোক এসে ভিড় করে। থাকলো এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সংক্রান্ত কিছু অজানা তথ্য-
এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল আজ থেকে প্রায় ১১৩ বছর আগে ১৯০৬ থেকে ১৯২১ সালের মধ্যে তৈরি হয়। রানী ভিক্টোরিয়াকে উৎস্বর্গকরে তৈরি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে বর্তমানে একটি মিউজিয়াম
তৈরি করা হয়েছে রানী ভিক্টোরিয়ার ব্যাবহৃত নানা জিনিস থেকে শুরু করে সেই সময়ের অস্ত্র-সস্ত্র ও বহু পুরোনো জিনিস।
বর্তমানে এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্বে আছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
১৯০১ সালের জানুয়ারি মাসে মারাযান রানী ভিক্টোরিয়া। তারপরে তাঁর স্মৃতিসৌধ হিসাবেই তৈরি হয় এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। লর্ড কার্জন-এর তত্বাবোধানে তৈরি হয় এই স্মৃতিসৌধ এবং এর সংলগ্ন একটি বাগানও তৈরি হয় সেখানে।
পরবর্তীকালে রাজা পঞ্চম জর্জ, ১৯০৬ সালের ৪ জানুয়ারি এই স্থাপত্যের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং ১৯২১ সালে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
সেই সময় এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল বানাতে প্রায় ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। যার সম্পূর্ণটাই এসেছিল ব্রিটিশ সরকার থেকে।
এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের স্থাপত্যবিদ ছিলেন রয়াল ইন্সটিটিউট অফ ব্রিটিশ আর্কিটেক্ট-এর প্রেসিডেন্ট প্রখ্যাত স্থাপত্যবিদ উইলিয়াম এমারসন।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের এই সম্পূর্ণ নকশাটি তৈরি হয় মিশরিয়, দক্ষিণী ও ইসলামিক স্থাপত্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। এছাড়াও এই স্থাপত্য তৈরিতে ব্রিটিশ ও মুঘাল উপাদানের ব্যবহার করা হয়। সুতরাং বলা যেতেই পারে অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ার ব্যাবহার হয়েছিল এই স্থাপত্য তৈরিতে।
সম্পূর্ণ সাদা ম্যাকরনা মার্বলে তৈরি এই স্থাপত্য। এই মার্বেলেই তৈরি তাজমহলও। এখানে যে সুন্দর বাগানটি দেখতে পান সেতি তৈরি করেন লর্ড রেডেসডেল এবং ডেভিড প্রেন। এর উত্তর দিকে অবিস্থিত যে সুন্দর ব্রিজটি সবার মন কারে সেটি তৈরি করেন ইমেরসনের সহকারি ভিনসেন্ট জিরম এস্চ, শুধু এটাই নয় এর সাথে ভিক্টোরিয়াতে ঢুকতে গেলেই যে গেটটা সবার প্রথম নজর কাড়ে সেটাও ইনিই তৈরি করেছিলেন।