লোকসভা ভোটের আগে দেখা গিয়েছিল এই চিত্র। মোদীকে হটাতে একযোগে বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করেছিলেন মমতা। এবার নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিরোধীদের একজোট হতে আহ্বান জানালেন মুখ্য়মন্ত্রী। সমস্ত অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এই বিষয়ে চিঠি পাঠালেন তৃণমূল নেত্রী।
অতীতে তাঁর ফেডেরাল ফ্রন্ট গড়ার স্বপ্ন অচিরেই ভেঙে যায়। কিন্তু হাল ছাড়েননি মমতা। এবার এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন হটাওয়ের প্রতিবাদে বিরোধীদের একজোট হওয়ার ডাক দিলেন তিনি। রাজ্য়ে ইতিমধ্য়েই সাপ্তাহে পাঁচদিন নাগরিকত্ব আইন বিরোধী সভা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এবার সেই প্রতিবাদের ঝড় দিল্লি ও বিভিন্ন রাজ্য়ে ছড়াতে চান তৃণমূল নেত্রী। তাই চিঠি পাঠালেন অবিজেপি শাসিত মুখ্য়মন্ত্রীদের কাছে। তাঁর ডাকে যে সাড়া মিলবে তা আগেভাগেই আঁচ করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। তাঁর দেখানে পথেই রাজ্য়ে এনআরসি ও সিএএ লাগু হতে দেবেন না বলেছেন অন্য় রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীরাও।
ইতিমধ্য়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে হেঁটে দেশের আরও ৯ টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও সিএএ লাগু করতে আপত্তি জানিয়ে দিয়েছেন। মমতার এই আন্দোলনকে গুরুত্ব দিতে বাধ্যে হচ্ছে মোদী সরকার। রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে জনসভা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুখেও ছিল মমতা বিরোধিতার কথা। সেই থেকেই স্পষ্ট, বিরোধীরা যাতে সিএএ নিয়ে না এগোতে পারে তাই সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজ্য় রাজনৈতিক মহল বলছে, এই মুহুর্তে দেশের মধ্য়ে সিএএ ও এনআরসি নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ করেছেন মমতা। সেকারণে এই দুই ইস্য়ুতে তিনি মোদী বিরোধিতায় অন্য়তম মুখ। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী রাজ্য় হওয়ায় এখানে এনআরসি একটা বড় ইস্য়ু তা ভালো করেই জানে সবাই। সেকারণে মমতাকে সামনে রেখে অবিজেপি শাসিত রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রীদের আন্দোলনে যেতে সমস্যা হওয়ার নয়। সেই লক্ষ্যেই ফের সমমনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করতেই তাঁর এই চিঠি পাঠানোবলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।