তৃতীয় মেদায়ে সরকার গঠণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃতীয় মেদায়ে সরকার গঠণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি আবেদন করেন এখনও তৃণমূল কংগ্রেস মানুষেক স্বার্থেই কাজ করতে চায়। কিন্তু কেন মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে না। আর কেনই বা তাদের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছাচ্ছে না তা খতিয়ে দেখতে হবে। তৃণমূলের প্রতি যেন মানুষের ভরসা অটুট থাকে তাও দেখতে হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, 'ভুল হলে তা যেন মানুষই ধরিয়ে দেন। কারও কোনও খারাপ লাগা থাকলে আমরা ক্ষমা প্রার্থী।'
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে অমিত শাহের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, অমিত শাহর বাংলা সফরের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। তিনি বলেন অমিত শাহ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তিনি যেন বিএসএফকে তাদের সীমা অতিক্রমের পরামর্শ না দেন। পাশাপাশি এই রাজ্য কীভাবে চলবে তার পরামর্শও যেন না দেন। মমতা বলেন অমিত শাহ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আইনশৃঙ্খার অবনতি নিয়ে কিছুই বলেন না। বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলি নিয়ে সর্বদাই সরব হন। এটা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজ নয় বলেও দাবি করেছেন তিনি।
মমতার অভিযোগ বিজেপি বাংলাকে ভাগ করতে চাইছে। আর সেই ব্যাপারে বিজেপির বি টিম হয়ে কাজ করছে সিপিএম। কিন্তু বিজেপি-সিপিএম-এর বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত সফল হতে দেওয়া যাবে না বলেও দাবি করেছেন তিনি। সিএএ নিয়েও মানুষকে ভয় না পেতে আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা জানিয়েছেন তিনি ১০ মে পশ্চিম মেদিনীপুর যাবেন। ঝাড়গ্রামেও একটি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। এদিন রান্নার গ্যাস পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব হন তিনি। আগামীদিনে এই বিষয়গুলি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস আন্দোলনে নামবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এই দিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহর বাংলা সফরকে কেন্দ্র করে আবারও উঠে এল নাগরিক সংশোধনী আইন-র প্রসঙ্গে। ২০১৯ সালে এই পাশ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও এই আইন লাগু করা হয়নি। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য এই আইন লাগু করা হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে অমিত শাহ জোর দিয়ে বলেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু করা হবে। যদিও তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন এই রাজ্যের মানুষকে তিনি অপমান করতে দেবেন না।