বউবাজারে বিপত্তি, আতঙ্কের জেরে ঘর ছাড়লেন মমতার মন্ত্রী

Published : Sep 05, 2019, 02:50 PM ISTUpdated : Sep 05, 2019, 10:51 PM IST
বউবাজারে বিপত্তি, আতঙ্কের  জেরে ঘর ছাড়লেন মমতার মন্ত্রী

সংক্ষিপ্ত

বউবাজারে মেট্রো বিপত্তির জের আতঙ্কে ঘর ছাড়লেন মমতার মন্ত্রী গত ১৩ বছর এই ফ্ল্য়াটেই থাকতেন মন্ত্রী মন্ত্রীর ফ্ল্য়াটে রয়েছে আরও ৭টি পরিবার  

সাধারণ বাসিন্দাদের পাশাপাশি এবার কোপ পড়ল মন্ত্রীর ফ্ল্যাটেও। বউবাজারে মেট্রোর বিপত্তির জেরে ঘর ছাড়লেন খোদ মমতার মন্ত্রী। আতঙ্কের জেরে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে আবাসনের অন্য বাসিন্দাদেরও।

১০৫ বউবাজার স্ট্রিট। গত ১৩ বছর এটাই ছিল রাজ্যের পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায়ের বাসভবন। মোট আটটা পরিবারের বসবাস এই ফ্ল্যাটবাড়িতে। ফ্ল্যাটে থাকে না বলতে মাত্র একটা পরিবার। মেট্রো কর্তৃপক্ষের এই হঠাৎ নোটিসে কান্নার রোল পড়েছে আবাসনে। যদিও তাপসবাবু জানান, লিখিত কোনও নোটিস দেয়নি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মৌখিকভাবে তাঁকে জানানো হয়েছে বিষয়টি। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার মধ্যে ঘর ছেড়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এরপরই বাড়ি খালি করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নেন মন্ত্রী । বাকি পরিবারগুলিও সেই পথেই হেঁটেছেন।

রাজ্যের পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন,বুধবার সকালেই কেএমআরসিএল-এর জেনারেল ম্যানেজার নিজেই আসেন তাঁর বাড়িতে। পরে মৌখিকভাবে তাঁকে ফ্ল্য়াট খালি করতে বলা হয়। তবে কোথায় গিয়ে উঠছেন তা এখনও জানাননি মন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেই তাঁর আগামী ঠিকানায় উঠবেন তিনি। গতকালই উত্তর কলকাতার ১০০ বছরের পুরোনো ২০টি বাড়িকে চিহ্নিত করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। বউবাজারে মেট্রোর কম্পনে এই বাড়িগুলিরও অবস্থা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। সেকারণে আগেভাগেই এই বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্য়েই বউবাজারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো বিপত্তির জেরে ৩০০রও বেশি বাসিন্দাদের অন্য জায়গায় সরানো হয়েছে। বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই সব বাসিন্দাদের কাছের হোটেল বা অতিথিশালায় রাখা হয়েছে। 

এদিনই উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে আসেন কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম।  পরে সেখানে যান সিপিএমের পলিটবুরো মেম্বার মহম্মদ সেলিম। সাধারণ বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের সেলিম বলেন,মাথায় বাঁজ পড়ার পর সরকারের ঘুম ভেঙেছে। আগেই এলাকার বাসিন্দারের পুনর্বাসন দিয়ে অন্যত্র সরানো উচিত ছিল। এখন রাতারাতি ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে আতঙ্কে দিন গুনছেন বাসিন্দারা। 

এদিকে ফের সুরঙ্গের দেওয়াল ঘেঁষে বালির বস্তা বসানো হচ্ছে। বিপত্তি এড়াতে টানেলে আরও দুই স্তরে প্রাচীর দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিনিয়ত মাটি পরীক্ষক ছাড়াও সুরঙ্গ বিশেষজ্ঞরা মেট্রোয় ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ময়নাতদন্ত করছেন। ইতিমধ্য়েই বউবাজারে মেট্রোর কাজের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি নতুন করে তৈরি করে দেবে বলে জানিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মেট্রো কর্তাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্তেই নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণের বিষয়েও রাজ্য সরকারের তরফে মেট্রো রেলকে বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যে বাড়িগুলি মেরামতি সম্ভব নয়, সেগুলি ভেঙে নতুনবাড়ি তৈরি করে দিতে হবে। এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে মেট্রো। বাকি বাড়িগুলি সারিয়ে দেবে মেট্রো রেল। দোকানের বদলে দোকান তৈরি করে দিতে হবে। এতেও সম্মতি দিয়েছে মেট্রো রেল। সূত্রের খবর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আপাতত ৫ লক্ষ টাকা করে দিতে পারে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
 

PREV
click me!

Recommended Stories

মেসি-কাণ্ডে কলকাতাকে বদনাম করার চেষ্টা! জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন কুণালের
'নবান্ন কাছে থাকলে দিদির আজ খবর ছিল', মেসি-কাণ্ডে মমতাকে কটাক্ষ অধীরের