কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের মাঝেই ফের মুখোমুখি হতে চলেছেন মোদী- মমতা। আগামী ৩০ এপ্রিল দেশের রাজধানীতে একই মঞ্চে দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে।
কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের মাঝেই ফের মুখোমুখি হতে চলেছেন মোদী- মমতা। আগামী ৩০ এপ্রিল দেশের রাজধানীতে একই মঞ্চে দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে। জানা গিয়েছে, ওইদিন বিচারপতিদের সম্মেলনের উদ্বোধন রয়েছে। সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন অন্যান্য রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীরাও।
দীর্ঘ ৬ বছর পর আবার এই সম্মেলন,মুখোমুখি হতে চলেছেন মোদী- মমতা
জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ এপ্রিল দিল্লিতে সকল রাজ্যের হাইকোর্টের বিচারপতিদের সম্মেলনের উদ্ধোধন রয়েছে। দীর্ঘ ৬ বছর পর আবার এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ২০১৬ সালের পর ফের দিল্লিতে এটা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই অনুষ্ঠানেরই উদ্ধোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। উপস্থিত থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারপতিরা। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকবেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ পেয়ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ও। তাই আবারও মুখোমুখি হতে চলেছেন মোদী- মমতা। তবে এখানেই শেষ নয়, মোদীর সঙ্গে বৈঠকও করতে চান মমতা। নবান্ন সূত্রে খবর, মমতা দিল্লি যাবেন ২৯ এপ্রিল। জানা গিয়েছে, এবার সফরে রাজ্য়ের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে েদেখা করার জন্য সময় চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য বিচারপতি সম্মলনের সম্ভাব্য আলোচ্য বিষয়বস্তু বিভিন্ন কোর্টে বিটারপতির পদ খালি, বিচার পেতে দেরি, দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন, দরজা আটকে বাইরে পাহারা দিলেন মহিলা, নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী-সহ ৪
আৎও পড়ুন, 'জাহাঙ্গিরপুরীতে তৃণমূল যাচ্ছে, বাঁকুড়ায়-শিবপুরে-ইসলামপুরে কে যাবে', বিস্ফোরক দিলীপ
মমতা-মোদী মুখোমুখি হওয়া কী কারণে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ?
সম্প্রতি হাইকোর্ট এমন একগুচ্ছ রায় দিয়েছে যাতে রাজ্য পুলিশের উপর অনাস্থারই প্রমাণ দিয়েছে মত রাজনৈতিক মহলের। প্রসঙ্গত, রাজ্যে একের পর এক ধর্ষকরা পুলিশের জালে ধরা পড়ছেন ঠিকই, তবে ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গে। মার্চের শেষে সেই মাটিয়াকাণ্ডের পর হাঁসখালি, শান্তিনিকেতন, ময়নাগুড়ি, মেদিনীপুর, বীরভূমের কীর্ণাহারে, হুগলির কোন্ননগরে একের পর এক হিংস্রভাবে ধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে। এরই পাশাপাশি শুরু হয়েছে একের পর এক বগটুই, ভাদু শেখ, আনিস খান, ঝালদার তপন কান্দুর মতো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। যার ফলে তীব্র আতঙ্কে রয়েছে রাজ্যবাসী। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। আর এই একের পর এক খুন, ধর্ষণকাণ্ডে তদন্তভার সিবিআই-র হাতে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি। এমনকী দেশের প্রধান বিচারপতি এমভি রামানার কাছে গিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নালিশ করেছিলেন, তার রায়ে ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিত দিচ্ছে। এই ইস্যুতে অস্থির হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের পরিবেশ। উলটো দিকে সম্প্রতি বিচার ব্যবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলতে চেয়েছেন,' দেশে গণতান্ত্রিক পরিসর সঙ্কুচিত। তাই প্রভাব পড়ছে বিচার ব্যবস্থায়। যা কাম্য নয়।' এমন পরিস্থিতি মমতা-মোদী মুখোমুখি হওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই অনুমান রাজনৈতিক মহলে।