এসেছে আমকাঠালের দিন। একই সঙ্গে আবার ফিরছে নিপার ভয়ও। কেরল সরকার থেকে নিশ্চিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এর্নাকুলাম জেলার ২৩ বছরের যুবকনিপা আক্রান্ত। তাঁকে এর্নাকুলাম মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশান ওয়ার্ডে রাখা হয়ছে। এছাড়াও পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে এই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগে থাকা প্রায় সত্তর জনের সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাথমিক ভাবে ওই যুবকের পর্যবেক্ষণ করা নার্সও। দুইজন নার্স ইতিমধ্যেই জ্বরে আক্রান্ত। সন্দেহ আরও চারজনের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। মোট ৮৬ জনের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে।
কেরল বহু দূর, কিন্তু নিস্তার নেই বাংলারও। কেননা অতীতে বহুবার এই ভাইরাস প্রাণ নিয়েছে বাঙালির। ২০০১ সালে শিলিগুড়িতে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৪৫ জনের। ২০০৭ সালে নদিয়াতে নিপায় মারা যান ৫ জন। কাজেই নিপা যে ফিরে আসবে না, এমনটা বলাও মুশকিল।
কী ভাবে ছড়ায় নিপা
তথ্য বলছে নিপা বহন করে এক ধরনের ফলখেকো বাদুর। এই প্রাণী ফল খুঁটে খেলে অনেক সময় বোঝারও উপায় থাকে না। বাদুর খাওয়া ফল খেলেই বিপদ। গত বছর কেরালায় নিপায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন প্রায় ১৭ জন।
কেন ভয়
অন্যান্য ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করা যায়। কিন্তু নিপার কোনও প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কৃতই হয়নি।
রিবাভ্যারিন দিয়ে কাজ চালানোর চেষ্টা করছে অনেকে।
কোন কোন বিষযে সতর্ক থাকতে হবে