দিদি দিল্লি যাওয়ার পর আর বাধা দিল না রাজ্য। পয়লা অক্টোবর রাজ্য়ে আসতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। পুজোর উদ্বোধনের পাশাপাশি এনআরসি নিয়ে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর।
সম্পর্কের বরফ গলল অবশেষে। দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার পর আর রাজ্যে শাহের সভা নিয়ে বিতর্ক রইল না। অতীতে একাধিকবার বাধা দিলেও এবার আর সেই পথে হাঁটল না রাজ্য। বিজেপি সূত্রে খবর রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা নিয়ে আপত্তি করেনি নবান্ন। ইতিমধ্যেই মৌখিকভাবে মুরলীধর স্ট্রিটকে সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর,১ অক্টোবর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এনআরসি নিয়ে সভা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এছাড়াও কলকাতায় দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করার কথাও রয়েছে তাঁর।
অতীতে রাজ্যে অমিত শাহের সভা ঘিরে বার বার বাধার মুখে পড়তে হয় রাজ্য বিজেপিকে। এমনকী সভার অনুমতি পেতে আদালত পর্যন্ত দৌড়তে হয়। একই কাণ্ড ঘটে আরএসএস সভাপতি মোহন ভাগবতের ক্ষেত্রেও। রাজ্য রাজনৈতিক মহলের ধরাণা, লোকসভা ভোটের পর এখন বদলে গিয়েছে চিত্রটা। এখন আর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদেই আটকে নেই শাহের পরিচয়। এখন তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেকারণে রাজ্যে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা আটকানো যে ঠিক নয়,তা বিলক্ষণ জানে রাজ্য সরকার।
রাজ্য রাজনীতির সাম্প্রতিক অতীত বলছে, কলকাতা উত্তরের প্রার্থী রাহুল সিনহার হয়ে প্রচারে এসেছিলেন অমিত শাহ। যাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার চেহারা নেয় উত্তর কলকাতা। অভিযোগ ওঠে, অমিত শাহের সভা থেকেই বিদ্যাসাগর কলেজে মূর্তি ভাঙা হয়। যা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান তৃণমূল নেত্রী। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে অমিত শাহকে কাঠগড়ায় তোলে তৃণমূল। বলা হয়, বাংলার মনীষীদের মান দেয় না বিজেপি।
কিন্তু সেসব এখন অতীত কথা। রাজ্য় রাজনীতির হাওয়া মোরগ বলছে,রাজীব কুমার ছাড়াও এনআরসি নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাকফুটে তৃণমূল। বার বার দিল্লিতে ডেকেও আগে মুখ্য়মন্ত্রীকে পাওয়া যায়নি। এখন নিজেই প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। যদিও কালীঘাটে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে,এনআরসি নিয়ে শাহ যাই বলুক না কেন, নাগরিকপঞ্জীর বিরোধিতা করবে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এনআরসির প্রয়োজন নেই বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে রাজ্যে এনআরসি নিয়ে অমিত শাহ কী বলেন, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত।